শীত থেকে যেভাবে বাঁচে প্রাণীরা
জার্মানিতে আস্তে আস্তে শীতের প্রকোপ বাড়ছে৷ সাধারণত এ সময়ে মানুষ আরো বেশি গরম কাপড় পরে৷ ঠান্ডায় বাইরে থাকার চেয়ে ঘরেই থাকতেই ভালোবাসে তারা৷ কিন্তু পশু-পাখিরা কি করে থাকে প্রচণ্ড এই শীতে? চলুন জানা যাক এই ছবিঘর থেকে৷
প্রচণ্ড শীতে যা করতে হবে
বাইরে যখন প্রচণ্ড শীত, মানুষ তখন ঘরে হিটারের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় আর যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকার চেষ্টার করে৷ এই প্রাণীটি যেমন নিজেকে শীতের হাত থেকে বাঁচাতে মাটির নীচে চলে যায়৷ আর পানি যখন জমতে শুরু করে তখন বরফের ফাঁক থেকে মাথা উঁচু করে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য৷
শীতে রং-ও যায় বদলে
শীতের সময় বেজি জাতীয় এই প্রাণীদের দেহে শুধু যে মোটা পশমই তৈরি হয়, তা নয়৷ ওদের গায়ের বাদামি রং-এর পশম হয়ে যায় ধবধবে সাদা৷ যার ফলে শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও কমে৷
ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়
ঈগল পাখিদের সেরকম সমস্যা হয় না৷ কারণ শীতকালটা ওরা ঘুমিয়েই থাকে৷ ফলে ওদের শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷ শীতের সময় ওরা অন্য কিছু খায়ও না আর ঘুমের মধ্যে নিজেদের গায়ের ক্ষয়প্রাপ্ত চর্বি থেকেই খাদ্যগ্রহণ করে৷ ঘুমের সময় এ সব প্রাণীকে আঘাত করলে ওদের মরে যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়৷
একে অপরকে আলিঙ্গন
শরীর গরম রাখার জন্য একে অপরকে জড়িয়ে থাকাটা খুবই জনপ্রিয় একটি উপায়৷ তবে সেটা যে শুধু শীত ঘুমে থাকা প্রাণীদের মধ্যেই দেখা যায়, তা কিন্তু নয়!
আফ্রিকায় শীতকালীন ঘুম
সাদা, সুন্দর এই বকগুলো যখন কেনিয়ার সেরেংগেটি অভয়ারণ্যে শীত ঘুমে থাকে, তখন অন্য বকগুলো ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আফ্রিকার পথে উড়তে শুরু করে৷
জার্মানিতে শীতকালীন ছুটি
সুমেরু অঞ্চল থেকে পাখিরা চলে আসে জার্মানিতে৷ বলা বাহুল্য, আর্কটিসের তুলনায় ওদের কাছে জার্মানির আবহাওয়া অনেক বেশি আরামদায়ক৷ প্রতি বছরই ওরা আসে এখানে, পাখি-প্রিয় পর্যকদের জন্য যা আনন্দদায়কও বটে৷
শীতকালের জন্য খাবার সংগ্রহ
কাঠবেড়ালিরা হেমন্তকালেই শীতকালের জন্য খাবার সংগ্রহ করে রাখে৷ এক হয় মাটির নীচে, না হয় গাছের গোড়ায়৷ শুধু তাই নয়, জমিয়ে রাখা সেই খাবার খুঁজে পাওয়ার জন্য চিহ্নও দিয়ে রাখে ওরা৷ অবশ্য খাবারের গন্ধও এই খোঁজার কাজে সাহায্য করে৷
বেশি বেশি করে খাওয়া
যেসব প্রাণীর ‘শীত ঘুম’ নেই, তাদের শীতকালে নিজেদের গরম রাখার জন্য অনেক বেশি খাবার খেতে হয়৷ বিশেষ করে ছোট ছোট পাখিদের৷ তাই খাবার পেলে ওরা খুবই খুশি হয়৷
ওপর থেকে উষ্ণতা নেয়
চিড়িয়াখানায় যারা পশু-পাখির দেখাশোনা করেন, তাঁরাই ওদের গরম রাখার জন্য গায়ের ওপর লাইটের তাপ দিয়ে থাকে৷ ছবিতে দেখুন আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা এই জন্তুটিকে৷
প্রয়োজনে কোট গায়ে দেয়
গৃহপালিত পশুদের জন্য সব কিছুই খানিকটা সহজ৷ কারণ ওরা বাড়িতে থাকে৷ ফলে শীতের প্রকোপ সেভাবে বুঝতে পারে না৷ তাছাড়া কুকুরদের জন্য বাজারে সুন্দর কোটও কিনতে পাওয়া যায়৷