শান্তিতে নোবেলজয়ীদের মধ্যে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন
বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগেও বিশ্বের অনেক দেশেই শান্তিতে নোবেল জয়ীদের অনেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন৷ ছবিঘরে থাকলো তাদের কয়েকজনের কথা৷
অং সান সুচি: মিয়ানমার
১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মিয়ানমারের অং সান সুচি৷ প্রায় দুই দশক গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে তাকে মুক্তি দেয় দেশটির সেনাবাহিনী৷ এরপর ২০১৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান তিনি৷
জোসে রামোস-হোর্তা: পূর্ব তিমুর
স্বাধীনতাকামী এই রাজনৈতিক নেতা ১৯৯৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান৷ দেশটির গৃহযুদ্ধ, যেই যুদ্ধে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন, সেটি থামাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তি পুরস্কার পান তিনি৷ ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পান তিনি৷ দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জোসে রামোস-হোর্তি৷ এরপর আবার ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি৷
কিম দায়ে-জুন: দক্ষিণ কোরিয়া
দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং গিয়েছিলেন কিম দায়ে-জুন (ছবিতে ডানে)৷ তার এই সফর ছিল কোরিয়ার যুদ্ধের পরবর্তীকালীন সময়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো রাষ্ট্রনেতার উত্তার কোরিয়া সফর৷ শান্তি আনয়নের এই চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে সে বছরই নোবেল পুরস্কার জেতেন তিনি৷ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন কিম৷
নেলসন মেন্ডেলা: দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন মেন্ডেলা ১৯৯৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷ ১৯৯৪ সালে তিনি দেশটির প্রথম গণতন্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন৷
লেখ ওয়ালেসা: পোল্যান্ড
কমিউনিস্ট রাজনৈতিক নেতা লেখ ওয়ালেসা ১৯৮৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷ ১৯৯০ সালে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷