1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের কন্টেইনারে আটকে রাখা হবে!

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের আবেদন গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডিটেনশন সেন্টারে রাখার ঘোষণা দিয়েছে বুদাপেস্ট৷ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ওরবান অবশ্য মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে ইইউর সঙ্গে তাঁর দেশের মতবিরোধ বাড়বে৷

https://p.dw.com/p/2XLzZ
Grenze Ungarn - Serbien - Flüchtlinge
ছবি: DW/A.V. Pal

হাঙ্গেরি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে, দেশটির সীমান্তে তৈরি বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে শিপিং কন্টেইনারের মধ্যে সকল রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীকে রাখা হবে৷ যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের সবাইকে কন্টেইনারে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি, এমনকি যারা বর্তমানে অন্যত্র রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে৷

শরণার্থীদের প্রতিরোধে দেশটির ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান সম্প্রতি বেশ কিছু কঠোর উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দেন৷ শিপিং কন্টেইনারে অভিবাসন প্রত্যাশীদের রাখার সিদ্ধান্ত সেসব উদ্যোগের প্রতিফলন৷ শরণার্থী ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সামগ্রিক নীতির কঠোর বিরোধী তিনি৷ কোটা পদ্ধতিতে শরণার্থীদের বিভিন্ন দেশে ভাগ করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত ইইউ নিয়েছিল, সেটি নিজের দেশে কার্যকর করেননি৷ এমনকি ইইউ’র বিরোধিতা সত্ত্বেও সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে হাঙ্গেরি

ওরবানের চিফ অব স্টাফ জেনোস লেজার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘মানুষের মুক্তভাবে ঘোরাঘুরির অধিকার বাতিল করা হবে৷ তারা শুধুমাত্র তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় থাকতে পারবে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘নির্ধারিত জায়গা হচ্ছে রাষ্ট্রের সীমান্ত৷ সেখানে ২০০-৩০০ মানুষ থাকতে পারেন, এমন কন্টেইনার স্থাপন করা হবে৷ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে৷’’

প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০,০০০ শরণার্থী হাঙ্গেরিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা করেন৷ কিন্তু দেশটি মাত্র ৪২৫টি আবেদন গ্রহণ করেছে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য