লেক শুকিয়ে জেগে উঠছে গ্রাম
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বাসিন্দাদের জন্য পানির ব্যবস্থা করতে লেক মরনোস তৈরি করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে কালিও গ্রাম ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই লেক শুকিয়ে গিয়ে গ্রামটি জেগে উঠছে৷
জেগে ওঠা গ্রাম
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের বাসিন্দাদের জন্য পানির ব্যবস্থা করতে ১৯৮০ সালে মরনোস লেক তৈরি করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে কালিও নামের একটি গ্রাম ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ লেক এখন শুকিয়ে যাচ্ছে৷ তাই জেগে উঠছে গ্রামটি৷
লেক শুকানোর কারণ
লেকের পাশের পাহাড়ে আগে শীতের সময় বরফ দেখা যেত৷ কিন্তু গত শীতে তা প্রায় দেখাই যায়নি৷ এছাড়া এবার গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপদাহ দেখা গেছে৷ বৃষ্টি খুব কম হয়েছে৷ গ্রিসের অনেক এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে৷ এসব কারণে লেক মরনোসের পানির স্তর কমে যাচ্ছে৷
ছোট হয়ে আসছে লেক
২০২২ সালের আগস্টে লেক মরনোসের আকার ছিল ১৬.৮ বর্গকিলোমিটার৷ এ বছর এটি ১২ বর্গকিলোমিটারের নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের ন্যাশনাল অবজারভেটরি৷
পানি সরবরাহ কমেছে
এথেন্স থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে লেক মরনোসের অবস্থান৷ এই লেকসহ আরও তিনটি জলাধার থেকে আটিকা অঞ্চলে পানি সরবরাহ করা হয়৷ এথেন্স আটিকা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে৷ ২০২২ সালে লেক মরনোসসহ ঐ তিন জলাধারে ১.২ বিলিয়ন ঘনমিটার পানি ছিল৷ এখন তা ৭০০ মিলিয়ন ঘনমিটারে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়৷
সাবেক গ্রামবাসীরা অবাক
৯০ বছর বয়সি কনস্টানটিনোস গেরোদিমোস (ছবি) কালিও গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ গ্রামটি আবার জেগে উঠতে দেখে অবাক হয়েছেন৷ তবে বর্তমান অবস্থা দেখে একটু কষ্টও পাচ্ছেন তিনি৷
আরেকটু হলে বাড়িও দেখা যাবে
গেরোদিমোসের স্ত্রী ৭৭ বছর বয়সি মারিয়া বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে একসময় পুরো গ্রামটাই জেগে উঠবে৷ তখন তাদের বাড়ি ও গির্জাও দেখা যাবে বলে আশা করছেন তিনি৷