1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাদাখ সমস্যা এখনও বিশবাঁও জলে

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

সোমবার সামরিক অফিসারদের বৈঠকের পরেও লাদাখ সমস্যার সমাধানসূত্র মিলল না। যৌথ বিবৃতিতে সমাধানসূত্র নেই।

https://p.dw.com/p/3irmm
ছবি: Mukhtar Khan/AP/picture alliance

এখনও লাদাখ সমস্যার সমাধান সূত্রে পৌঁছনো গেল না। সোমবার ষষ্ঠবারের জন্য লাদাখ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চীনের লেফটন্যান্ট জেনারেল স্তরের অফিসাররা। তাঁদের সঙ্গে এই প্রথম সেখানে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু তার পরেও সমাধানসূত্রে পৌঁছনো গেল না। দীর্ঘ বৈঠকের পরে দুই পক্ষ যে যৌথ প্রেস বিবৃতি দিয়েছে, তাতে সমাধানসূত্রের কোনও উল্লেখ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত এপ্রিল-মে মাস থেকে লাদাখে ভারত এবং চীনের সেনার মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গালওয়ান অঞ্চলে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। বস্তুত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং বেড়েছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোর অধিবেশনে বৈঠকে বসেছিলেন ভারত এবং চীনের বিদেষশমন্ত্রী। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পরে তাঁরা পাঁচ পয়েন্টে সমাধানের রাস্তা মিলবে বলে যৌথ ভাবে জানিয়েছিলেন। তারই জেরে সোমবার লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে বৈঠকে বসেন দুই পক্ষের সেনা আধিকারিকরা। এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরাও। সূত্র জানাচ্ছে, দীর্ঘ বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ভারত চীনের বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকদের অপহরণের অভিযোগও পর্যন্ত তুলেছে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন অরুণাচল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন পাঁচ জন। পরে অবশ্য চীন তাঁদের ভারতে ফেরতও পাঠিয়ে দেয়।

সোমবারের বৈঠকের শেষে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এমন কিছু করা হবে না, যাতে সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এত দিন ধরে লাদাখ সমস্যা চলার পরে, সীমান্তে গুলি চলার পরে এই বিবৃতির কোনও অর্থই হয় না। সত্যি সত্যি সমাধান সূত্রে পৌঁছনো গেলে দুই দেশই জানাতো কী ভাবে সেনা পিছিয়ে নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও দেশই ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি। আর সেনা না পিছোলে লাদাখ সংস্যার আপাতত সমাধানও সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লাদাখে এই মুহূর্তে দুই দেশের সেনার যা অবস্থান, তা এপ্রিলের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হলেও দুই দেশের সেনাকে যথেষ্ট আপস করতে হবে। শীতের আগে সে কাজ কোনও দেশই করতে চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে না। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সেনাও ওই এলাকা থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাও আপাতত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে না।

সোমবারের বৈঠকের পরে ফের সেনা আধিকারিকরা বৈঠকে বসবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

 

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)