রাস্তার একপাশে জার্মানি, আরেক পাশে ফ্রান্স
৩০ আগস্ট ২০২৪লাইডিঙ্গেন গ্রামটি নেপোলিয়নের সময় থেকেই বিভক্ত৷ ঐ গ্রামে একটা জার্মানির পানির কল আছে৷ আছে ফ্রান্সেরও৷ আছে একটি ফরাসি গির্জা৷ আর এটি জার্মানির৷ ফ্রান্সের পোষাপ্রাণী, আছে জার্মানিরও৷
লাইডিঙ্গেন গ্রামে কখনও সীমান্ত বেড়া ছিল না৷ ডানপন্থি পপুলিস্ট মতাদর্শ কখনও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেনি৷
তবে কেয়ার্স্টিন মোজার বলছেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের আমলাতন্ত্র সামলানো একটু কঠিন৷ তিনি বলেন, ‘‘আসলে তেমন কোনো সুবিধা নেই৷ চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে অনন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়: অপরাধীরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যেতে পারেন৷ তখন আমাদের ফরাসি সহকর্মীদের জানাতে হয়- যেটাতে অনেক সময় লাগে- এর মধ্যে অপরাধীরা পালিয়ে যায়৷''
আরও আছে এমন ‘অপরাধ' যেটি খুব কম গ্রামেই ঘটে বলে জানান জার্মান গ্রাম প্রধান ভাল্টার শ্মিট৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানির দিকের পতাকাটা এখনও আছে৷ গর্বভরে জানাচ্ছে, এটা জার্মানি৷ অন্যদিকে, ফ্রান্সের পতাকাটা কেউ খুলে ফেলেছে৷ যদি কোনো জার্মান এটা খুলতো তাহলে মাক্রোঁকে বার্লিনে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলরকে এটা বলতে হতো৷''
তবে সেখানকার সবাই গ্রামের কমিউনিটি সেন্টার নিয়ে খুশি৷ এটি তৈরিতে ইইউ অনেক ভর্তুকি দিয়েছে৷
গ্রামের একটু বাইরে কাটরিন ক্লেবার ও স্বামীর একটি গবাদিপশুর খামার আছে৷ তারা বলছেন, দুই দেশের আমলাতন্ত্র সামলানো একটু সমস্যার৷
ক্লেবার দম্পতির খামারটি ফরাসি সীমান্তের কাছে হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে৷ কাটরিন বলেন, ‘‘খামারের পাশে ঘাস খাওয়ার একটি মাঠ আছে যেটা ফ্রান্সে অবস্থিত৷ আমরা সেখানে গরুদের পাঠাতে চাই৷ কিন্তু আইন বলছে, গরুদের সেখানে পাঠানোর আগে তিন মাস কোয়ারান্টিনে রাখতে হবে৷''
তিনি আরও উন্মুক্ত সীমান্ত চান- শুধু গরুর জন্য নয়, তার কন্যার জন্যও৷
প্রতিবেদন: আক্সেল রভল্ট/জেডএইচ