1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি

২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাশিয়ার উপর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমা জগত৷ অ্যামেরিকা, ইইউ, জি-সেভেন এমনকি তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধেও এমন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/4cdn4
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন
রাশিয়ার উপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে শিল্পোন্নত দেশগুলো

আগামী শনিবার ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে৷ এই সময়কালে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে না পারলেও প্রবল চাপ বজায় রেখেছে৷ বিশেষ করে মার্কিন সহায়তা থমকে যাওয়ায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সম্প্রতি গোলাবারুদ ও অস্ত্রের অভাবে বেকায়দায় পড়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপানোর তোড়জোড় চলছে৷

শনিবার শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেনের শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসছেন৷ সেখানে মস্কোর উপর জি-সেভেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে৷ জি-সেভেনের বর্তমান সভাপতি দেশ ইটালির পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা জগতের  অবিচ্ছেদ্য সহায়তার দাবি করা হয়েছে৷ পশ্চিমা জগত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, এমন ‘রটনা' অস্বীকার করছে জি-সেভেন৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক সহায়তায় বিলম্বের কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাশিয়া হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী শুক্রবার রাশিয়ার উপর আরো এক দফা নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ঘোষণা করতে চলেছেন৷ বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যু ও দুই বছর ধরে ইউক্রেনের উপর হামলার দায়ে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি মঙ্গলবার জানান৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালাইভান বলেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রের একাধিক পণ্য যোগ করা হবে৷ সে দেশের অর্থনৈতিক রাজস্বের কিছু উৎসও বন্ধ করা হবে৷ এক মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ইউক্রেনের যুদ্ধের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞার নতুন প্যাকেজের প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ নাভালনির মৃত্যুর কারণে সেই পদক্ষেপ আরো জোরালো করা হচ্ছে৷

রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সমন্বয় করে চলেছে বাইডেন প্রশাসন৷ এর আওতায় সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাগিরি সংক্রান্ত উপ মন্ত্রী ব্রায়ান নিলসন চলতি সপ্তাহে ইউরোপ সফর করছেন৷ জার্মানি, বেলজিয়াম ও ফ্রান্সে তিনি নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন কমাতে এমনকি তৃতীয় কোনো দেশের উপরেও সহায়তার দায়ে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে৷

দুই বছর ধরে যাবতীয় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া যেভাবে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ উৎপাদন বাড়িয়ে ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে৷ সে দেশের অর্থনীতিও নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা মোটামুটি সামলে উঠেছে৷ পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদের রপ্তানির মাধ্যমে রাশিয়ার আয়ের পথও খোলা আছে৷ ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ থেকে মস্কো এমনকি অস্ত্রও আমদানি করছে৷ এমন পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)