1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রান্নাঘরে কেউ শরণার্থী নয়’

২৪ জুন ২০১৭

ইউরোপের ১৩টি শহরে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নানান পদ দিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ৷ খাবার চেখে দেখা ছাড়াও এই আয়োজনের উদ্দেশ্য সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান৷

https://p.dw.com/p/2fFsO
Griechenland - Syrischer Flüchtling - Küche in Athen
রান্না করছেন সিরীয় শরণার্থী ইউনেসছবি: Reuters/C. Baltas

উৎসব করার মতো কিছুই ঘটেনি৷ তা-ও বিরাট ভোজের আয়োজনে ব্যস্ত বার্শাঙ্ক হাজ ইউনেস৷ হুম্মুস, মউটাবাল (বেগুনের এক রকম সালাদ), ভেড়া ও মুরগির মাংস সবই আছে মেন্যুতে৷ ২,০০০ কিলোমিটার দূরে তাঁর দেশ সিরিয়ায় ঘরে অতিথি এলে এ সব খাবার দিয়েই সাধারণত আপ্যায়ন করা হয়৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে ইউনেস পালিয়েছেন আগেই৷ গ্রিসে এসেছেন বছরখানেক আগে৷ বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে এখন গ্রিসের একটি রেস্টুরেন্টে তাঁর রান্নাপ্রতিভা দেখাচ্ছেন স্থানীয় এক রাঁধুনিকে সঙ্গে করে৷ ২ বর্গমিটারের রান্নাঘরে ১৪টি পদ তৈরিতে ব্যস্ত তিনি আর রেস্তোরাঁর প্রধান রাঁধুনি ফটিস ফটিনগ্লোউ৷

Griechenland - Syrischer Flüchtling - Küche in Athen
রেস্তোরাঁর প্রধান রাঁধুনি ফটিস ফটিনগ্লোউ (বামে)ছবি: Reuters/C. Baltas

খুব মন দিয়ে কাজ করেন ইউনেস৷ তাঁর আশা, এই খাবারগুলো সবাইকে তাঁর দেশের অসহায় হাজারো মানুষের কথা মনে করিয়ে দেবে৷ 

‘‘আমি তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এখানে অনেক সিরীয় শরণার্থী আছে৷ আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, এই সিরীয়দের সাহায্য দরকার৷’’

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ইউনেস শখের রাঁধুনি নয়৷ সিরিয়ায় যুদ্ধ চলার সময় উত্তর-পূর্ব কুর্দি শহর আমুডা ছেড়ে তিনি ইরাকে পালিয়ে যান৷ এরপর সেখানকার হোটেলে প্রথমে ওয়েটার ও পরে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করে কিছু অর্থ উপার্জন করে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান৷ নৌকায় করে তুরস্ক পৌঁছান গত বছরের মার্চে৷

রান্নার এই আয়োজন থেকে একটি বার্তা দিতে চান ইউনেসের গ্রিক সঙ্গী ফটিনোগ্লোউও৷

তিনি মনে করেন,‘‘এদের জীবনে যা ঘটেছে, তা আমাদের যে কারো জীবনেই ঘটতে পারে৷’’ ‘‘আমরা মনে করি, রসুঁইঘরে কোনো ভেদাভেদ নেই৷ কোনো শরণার্থী নেই৷ আমরা সবাই এক, সবাই মানুষ৷’’

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)