1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে

১০ মে ২০২১

চীনের মহাকাশে পাঠানো রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে এসে পড়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

https://p.dw.com/p/3tB6G
লং মার্চ রকেট
ছবি: Pu Xiaoxu/Xinhua/AP/picture alliance

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়লো ভারত মহাসাগরে। চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়ে মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মহাকাশে চীনের রকেট ভেঙে যাওয়ার পরেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রায় ১৮ টনের ধাতব ধ্বংসাবশেষ স্থলভূমিতে পড়লে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে চীনের বিজ্ঞানীরা প্রথম থেকেই বলছিলেন, ধ্বংসাবশেষজলেই পড়বে।

গত ২৯ এপ্রিল চীনের হাইনান আইল্যান্ডের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র থেকে মহাকাশে পাঠানো হয় লংমার্চ ফাইভ বি রকেট। চীন দাবি করেছিল, নতুন এই রকেট মহাকাশ গবেষণায় অন্যতম মাইলফলক। কিন্তু শনিবার জানা যায়, মহাকাশে ভেঙে পড়েছে রকেটটি। তারপর থেকেই রকেটের ধ্বংসাবশেষ কোথায় ভেঙে পড়বে, তা নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়।

স্পেস ট্র্যাকের তরফে জানানো হয়, রোববার স্থানীয় সময় ১০টা ২৪ মিনিটে ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়ে রকেটটি। প্রায় ১৮ টন ধাতু জলের তলায় তলিয়ে যায়। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

গত বছরই আইভোরি কোস্টে একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়েছিল। তবে সেবারও বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এর আগে ১৯৭৯ সালেও রকেটের ধ্বংসবশেষ পৃথিবীতে এসে পড়েছিল।

নাসা গোটা বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছে। নাসার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরো সতর্ক হয়ে চীনের মহাকাশে রকেট পাঠানো উচিত। যে কোনো মুহূর্তে রকেটের ধ্বংসাবশেষে পৃথিবীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। হার্ভার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক জনাথন ম্যাকডোয়েল জানিয়েছেন, এই পরিমাণ ধাতব পদার্থ ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে তার ফল খুব ভালো হওয়ার কথা নয়। চীনের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।

চীন অবশ্য পশ্চিমা দেশের এই অভিয়োগ মানতে রাজি হয়নি। তাদের বক্তব্য, বিষয়টিকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে নাসা। তারা চীনকে ছোট করার চেষ্টা করছে। আসলে চীনের মহাকাশ গবেষণার অগ্রগতিতে তারা ঈর্ষান্বিত। গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন চীনের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের এক অফিসার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)