যৌন অক্ষমতা শারীরিক, নাকি মানসিক?
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮নিজের উদ্ভাবন বড় অনুষ্ঠানে তুলে ধরতে বিশেষ পছন্দ করেন জন বেরি৷ একজন পুরুষের পুরুষাঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা যাচাইয়ের এক সহজ উপায় জানেন তিনি৷
এজন্য যা করতে হবে, তা হচ্ছে, পুরুষাঙ্গে রিংয়ের মতো করে ডাকটিকিট জড়াতে হবে এবং কিছুটা কল্পনাশক্তি লাগবে৷
সেই ১৯৭৯ সালে বেরি তাঁর দুই সহকর্মী, ব্রুস ব্ল্যাঙ্ক এবং মাইকেল বোইলিয়ুকে নিয়ে এই পন্থা উদ্ভাবন করেছিলেন৷ আর সেই উদ্ভাবনের প্রায় চল্লিশ বছর পর তাঁরা রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনে আইজি নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন৷ এটি একটি প্যারোডি নোবেল পুরস্কার, যা এমন উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়, যার কথা শুনলে মানুষ ‘প্রথমে হাসবে, তারপরে ভাববে'৷
বেরি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে কিনা তা যাচাই করা৷ একজন স্বাভাবিক পুরুষের ঘুমন্ত অবস্থায় এক থেকে পাঁচবার লিঙ্গউত্থান ঘটে৷ আর এটা তিনি যখন স্বপ্ন দেখেন, তখন ঘটে৷ সেই স্বপ্ন যে যৌনউদ্দীপক হতে হবে এমন কোনো কথা নেই৷''
সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখা যায়, ডাকটিকিটগুলো ছিঁড়ে যায়নি, অর্থাৎ আগের মতোই আছে, তাহলে বুঝতে হবে কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে সেই ব্যক্তির যৌন অক্ষমতা রয়েছে৷ বেরি বলেন, ‘‘সেই ব্যক্তির হয়ত ডায়াবেটিস, বা ধমনীতে সমস্যা আছে৷''
কিন্তু, যদি দেখা যায়, ঘুমন্ত অবস্থায় একজন মানুষের লিঙ্গউত্থান ঘটে, কিন্তু যৌন সম্ভোগের সময় তেমনটা ঘটে না, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা আসলে মানসিক৷ অর্থাৎ ডাকটিকিট পরীক্ষা সমস্যার কারণ বুঝতে সহায়ক৷ এই পরীক্ষা করতে একটি পুরুষাঙ্গের জন্য চারটি পর্যন্ত ডাকটিকিট দরকার হতে পারে৷ আর সেগুলো আঠা দিয়ে অবশ্যই আটকে দিতে হবে৷
ব্রিগিটে ওস্টেরাথ/এআই