যেসব ‘মুসলিম’ দেশ শরণার্থীদের সহায়তা করছে, করছে না
সিরিয়ার শরণার্থীদের ঢল নেমেছে ইউরোপে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ৷ এরই মধ্যে, ‘মুসলিম’ দেশগুলোর মধ্যে কারা শরণার্থীদের সহায়তা করছে, কারা করছে না তা নিয়েও চলছে বিতর্ক৷
সাহায্য করছে প্রতিবেশী ‘মুসলিম’ দেশগুলো
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার প্রতিবেশী মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো চার মিলিয়নের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এসব দেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে সিরীয়রা৷
তুরস্কে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী
সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ তুরস্কে সবচেয়ে বেশি সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তুরস্কে নিবন্ধিত সিরিয়ার শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন৷
এগারো লাখের বেশি লেবাননে
সিরিয়ার আরেক প্রতিবেশী দেশ লেবাননে অবস্থান করছে এগারো লাখের বেশি শরণার্থী৷ তবে চলতি বছরের মে মাস থেকে দেশটিতে আর নতুন শরণার্থীদের নিবন্ধন করা হচ্ছে না৷
জর্ডানের অনেক ক্যাম্পে সিরীয় শরণার্থী
সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ জর্ডানে রয়েছেন ছয় লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী৷ দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়েছে৷ ইউএনএইচসিআর-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানে শরণার্থীদের কোনো জট এই মুহূর্তে নেই৷
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে সিরীয় শরণার্থী!
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকেও সিরিয়ার প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী অবস্থান করছেন৷ পূর্ব আফ্রিকাতেও আশ্রয় নিয়েছে চব্বিশ হাজারের মতো শরণার্থী৷ এবার চলুন জানা যাক সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে না, এমন কয়েকটি ‘মুসলিম’ দেশের নাম৷
সিরীয়দের পাশে নেই সৌদি আরব
মুসলমানদের তীর্থস্থান যেদেশে, সেই সৌদি আরব সিরীয় শরণার্থীদের কোনো সহায়তা করছে না৷ বরং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধীদের আর্থিক সহায়তা করছে দেশটি৷ চলতি বছর আঠারো মিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার তাদের দিয়েছে সৌদি আরব৷
সমালোচনায় পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো
সৌদি আরব এবং অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তা না করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়ছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সমালোচনায় মুখর তাদের দেশের মানুষরাও৷ তবে এতে সেসব দেশের নীতিতে কোনো পরিবর্তন এখনো আসেনি৷