dw.com এর বেটা সংস্করণ ভিজিট করুন৷ আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি! আপনার মতামত সাইটটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিজিআর নামে একটি লবিস্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার বলেছেন, দেশের স্বার্থে যেখানে তদবিরের প্রয়োজন হবে, সেখানে সরকার তদবির চালাবে৷
ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে এক আলোচনা শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন৷
সম্প্রতি র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নতুন করে লবিস্ট নিয়োগ করবে কি না, সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এসব বলতে পারব না৷ অ্যামেরিকার চর্চা এটি (লবিস্টদের কাজ)৷ এটা বোধ হয় ২০১৩-১৪ সালে করেছিল এবং ওরা কাজ করে৷ প্রত্যেক দেশেই...আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি৷ ওই দেশে বলে প্রাতিষ্ঠানিক তদবির৷ যেখানে তদবির দরকার, সেখানে আমরা চালাব৷ দেশেও তো কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে৷’’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘সময়-সময় আমাদের অনেক ধরনের দুর্যোগ আসে৷ আমরা সেগুলো সমাধান করি৷ এখনো একটা হয়তো অসুবিধা আসছে৷ কিন্তু আমরা এটা সমাধান করতে পারব৷ আমেরিকানরা পরিপক্ব জাতি৷ যদিও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে৷ এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা৷ র্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে৷ এ কারণেই র্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে৷’’
এনএস/জেডএইচ (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার)