1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
২০১৪ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ ১৭
২০১৪ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ ১৭ছবি: Anastasia Vlasova/EPA/dpa/picture alliance
রাজনীতিরাশিয়া

যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের জন্যও পুটিন দায়ী?

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন ২০১৪ সালে ইউক্রেনের আকাশে বিমান ধ্বংসে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে৷ তবে তথ্যপ্রমাণের অভাবে আপাতত তদন্তে ইতি টানা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4NGt3

শুধু ইউক্রেনের উপর বর্তমান হামলাই নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ আনা হলো৷ ২০১৪ সালে ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের জন্যও তাকে পরোক্ষভাবে দায়ী করা হলো৷ যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এমএইচ১৭ উড়াল ধ্বংস করা হয়েছিল, পুটিন ব্যক্তিগতভাবে সেগুলি ইউক্রেনের পূর্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে তদন্তে দাবি করা হয়েছে৷ আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানটি ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভেঙে পড়ায় বিমানের ২৯৮ যাত্রী ও বিমানকর্মী নিহত হয়েছিলেন৷

দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর তদন্তকারী দল অবশ্য যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে পুটিন-সহ অন্যান্য সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেশ করতে পারেন নি৷ ফলে তদন্ত আপাতত বন্ধ রাখতে হচ্ছে৷ নেদারল্যান্ডসের কৌঁসুলি ডিগনা ফান ব্যোৎসেলায়ের বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পর্যায়ে, অর্থাৎ পুটিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘বাক টেলার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, এমন একাধিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে৷ কিন্তু এমন সন্দেহের পক্ষে চূড়ান্ত ও আইনসম্মত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷ তদন্তকারীদের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বলেন, আদের মতোই রুশ ফেডারেশনকে দায়বদ্ধ করা হবে৷ নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ উল্লেখ্য, গত প্রায় তিন মাস আগে নেদারল্যান্ডসের এক আদালত দুই রুশ ও এক ইউক্রেনীয় নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করে৷ তাদের অবশ্য আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় নি৷

২০১৪ সালে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল ও পূবের কিছু এলাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে এনেছিল রাশিয়া৷ সেই সময় ডনবাস অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল মস্কো৷ কিন্তু এমএইচ১৭ উড়াল ধ্বংসের জন্য যাবতীয় দায় অস্বীকার করে এসেছে সে দেশ৷ তদন্তকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে বর্ণনা করে রাশিয়া তা মেনে নেয় নি৷

ডাচ তদন্তকারীরা অবশ্য আড়ি পেতে রেকর্ড করা একটি টেলিফোন কল শুনিয়ে পুটিনের এক উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷ তাতে শোনা যাচ্ছে, যে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত একমাত্র এক ব্যক্তি নিতে পারেন৷ তিনি ফ্রান্সে এক শীর্ষ বৈঠকে ব্যস্ত আছেন৷ আরেকটি কলে পুটিন নিজে লুগানস্ক অঞ্চলের এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে ‘সামরিক সরঞ্জাম' সম্পর্কে কিছু বলেন৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুটিনের আইনি রক্ষাকবচের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আপাতত কিছু করা সম্ভব নয় বলেও তদন্তকারীরা মন্তব্য করেন৷ তবে তদন্তে উঠে আসা সব তথ্যপ্রমাণ মহাফেজখানায় রাখা থাকবে৷ কোনো এক সময়ে খোদ রাশিয়ায় তদন্ত চালানো সম্ভব হলে হয়তো আদালতে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ উঠে আসবে বলে আশা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

তেরেসার বড় একটা স্বপ্নও আছে শিশুদের নিয়ে৷ সেই কথা জানাতে গিয়ে রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি স্বপ্ন দেখি এই শিশুরা বড় হয়ে যে কাজই করবে, যেখানেই যাবে, সেখানে বড় বড় ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেবে৷’’

মিশরের রাজধানীতে শিশুদের ‘আবর্জনার শহর’

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ
প্রথম পাতায় যান