1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলকে সতর্ক করলেন সেহোফার

২২ জুন ২০১৮

শরণার্থী ইস্যুতে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফারের মধ্যে মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে৷ সেহোফার বলেছেন, ম্যার্কেল যদি তাঁর (সেহোফার) কাজে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁর উচিত হবে জোট সরকার ভেঙে দেয়া৷

https://p.dw.com/p/304Ah
ছবি: picture-alliance/dpa/K.Nietfeld

সেহোফার সিএসইউ দলের প্রধান৷ এই দলটি জার্মানির জোট সরকারের একটি অংশ৷ বাভেরিয়া রাজ্যে ম্যার্কেলের দল সিডিইউর সঙ্গী দল হচ্ছে সিএসইউ৷

সম্প্রতি সেহোফার অভিবাসন বিষয়ক একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান’ তৈরি করেছেন৷ কিন্তু ম্যার্কেলের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি৷ জানা গেছে, যেসব শরণার্থী ইউরোপের অন্যদেশে নিবন্ধিত হয়েছেন, তাঁদেরকে জার্মান সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দিতে চান সেহোফার৷ তবে ম্যার্কেল এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি শরণার্থী সংকটের একটি ইউরোপীয় সমাধান চান৷

ম্যার্কেলের সঙ্গে সেহোফারের এই মতভিন্নতার কারণে জার্মানির জোট সরকারের ভবিষ্যৎ সংকটের মুখে পড়েছে৷ শরণার্থী সমস্যার সমাধান খুঁজতে ম্যার্কেলকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সেহোফার৷

শুক্রবার ‘পাসাওয়ার নয়্যার প্রেসে’তে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সেহোফার বলেন, ‘‘ম্যার্কেল যদি আমাকে বরখাস্ত করেন তাহলে সেটা ‘দেশের নিরাপত্তা দেখভালের কারণে কোনো মন্ত্রীকে বরখাস্তের প্রথম ঘটনা হবে৷’’

উল্লেখ্য, আগামী অক্টোবরে বাভেরিয়া রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে শরণার্থীবিরোধী দল এএফডির কাছ থেকে সেহোফারের সিএসএউ দল প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছে৷ সে কারণে সেহোফার শরণার্থীবিরোধী ঢেউ তুলছেন বলে অনেকে মনে করছেন৷

এদিকে, শরণার্থী সংকটের একটি সমাধানসূত্র খুঁজতে রবিবার ইইউর কয়েকটি দেশের নেতারা রবিবার ব্রাসেলসে বৈঠক করবেন৷ এরপর বৃহস্পতিবার ইইউর শীর্ষ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷

আলবেনিয়ার সঙ্গে চুক্তি?

ম্যার্কেলসহ ইইউর কয়েকজন নেতা ইউরোপের মধ্যে, কিন্তু ইইউর বাইরে, শরণার্থী গ্রহণের কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা সমর্থন করছেন৷ সেক্ষেত্রে আলবেনিয়া একটি সম্ভাব্য দেশ হতে পারে বলে আলোচনা চলছে৷ কারণ, দেশটি ইইউ'র অংশ নয়৷ তাছাড়া দেশটি, অধিকাংশ শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য যে বলকান রুট ব্যবহার করে, সেই পথে অবস্থিত৷

শরণার্থীদের গ্রহণ করতে আলবেনিয়ায় অনেক ‘রিসিপশন সেন্টার’ও আছে৷ শরণার্থীদের সঙ্গে আলবেনিয়ার আচরণ সন্তোষজনক বলেও মনে করে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা৷

ফলে শরণার্থীদের প্রথমে আলবেনিয়ায় নিয়ে গিয়ে, সেখানেই তাদের আবেদন বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে ইইউ৷

আলবেনিয়ারও ইইউর এই পরিকল্পনায় সায় আছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে ইইউর কয়েকটি দেশ সফর করেছেন৷ আলবেনিয়ার বিরোধী দল মনে করছে, ভবিষ্যতে ইইউতে প্রবেশের আলোচনায় সুবিধা পাওয়ার আশায় সরকার রিসিপশন সেন্টারগুলো খুলছে৷

আডেলহাইড ফাইলকে, ফল্কার ভাগেনার/জেডএইচ