মেক্সিকোয় ঘূর্ণিঝড় ‘জন'-এর আঘাতে মৃত ২২
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঘুর্ণিঝড় জনের কারণে মেক্সিকোতে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে৷ ইতিমধ্যে ২২জনের প্রাণ হারানোর খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷
মেক্সিকোর গেরেরো রাজ্য দেশটির সবচেয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অঞ্চলগুলির একটি৷ সেখানেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের৷ ভূমিধসের ফলে ১৮জন সেখানে মারা গেছেন বলে জানাচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যম৷
দক্ষিণে ওহাকা অঞ্চলে আরো তিনজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে৷ নদীর পানিতে ভেসে আরো এক শিশুর মারা যাবার খবর এসেছে মিখোয়াকান রাজ্য থেকে৷
সোমবার গেরেরো রাজ্যের কাছে এসে আরো শক্তিশালী হয় এই ঘূর্ণিঝড় জন৷ তারপর গোটা সপ্তাহজুড়ে দেশটির অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে আসে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধস৷ শুক্রবার থেকে স্তিমিত হতে থাকে ঝড়, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে৷
নৌকা, জেট স্কি ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছে উদ্ধারকাজ৷ শনিবার সকাল থেকে আবার চালু হয়েছে স্থানীয় বিমানবন্দরের পরিষেবাও৷
এখনো স্পষ্ট গত বছরের ঝড়ের স্মৃতি
এক বছর পেরোবার আগেই আবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ৷ বন্যার্ত পাড়া থেকে স্থানীয়রা শিশুদের নিয়ে ছোট ডিঙি নৌকা ও ভেলায় চেপে আশ্রয়ের দাবি জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের কাছে৷
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ওটিস নামের ঘূর্ণিঝড় আকাপুলকো অঞ্চলকে বতছনছ করে, ৫০জনেরও বেশি প্রাণ হারান ও কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়৷ কিন্তু সেবারের তুলনায় তিনগুণ বৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জনের সময় এই বছর৷
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইউনো টিভিকে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা জাসমিন বারেরা বলেন, ‘‘পানি অনেক কমে গেছে আমরা সোমবার থেকে সূর্য দেখতে পাইনি৷ এবার ক্ষয়-ক্ষতি আরো বেশি হয়েছে৷’’
শনিবারে গেরেরো ও ওহাকার কিছু অহ্চলে বৃষ্টি হলেও আকাপুলকো অঞ্চলে পানি কমছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ মানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর একটি টুইট করে বলেন, ‘‘আশ্রয় শিবির ও অস্থায়ী রান্নাঘর চালু করা হয়েছে৷ সেখান থেকে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে৷ সৌভাগ্যক্রমে পানির স্তর নামছে এবং দুর্গতদের সাহায্য পাঠানোর কাজ চলছে৷''
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)