1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুদ্রা পাচার অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক: এলিনা খান

৩০ মার্চ ২০১২

মুদ্রা পাচারের ফলে অর্থনীতির কী ক্ষতি হতে পারে? বাংলাদেশে এই অপরাধের জন্য কী ধরণের শাস্তির বিধান রয়েছে? আইনজীবী এলিনা খান এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে৷

https://p.dw.com/p/14UtX
Datum: 06.12.2011 Eigentumsrecht: AHM Abdul Hai, Bengali Redaktion, DW, Bonn
ছবি: DW

বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল-মামুনের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন গুলশান থানার সাবেক ওসি কামাল উদ্দিন৷ এই মুদ্রা পাচারের আইনি দিক নিয়ে আইনজীবী এলিনা খানের বক্তব্যে উঠে এসেছে মুদ্রা পাচারের ফলে কোন দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকগুলি৷

অর্থনীতিতে মুদ্রা পাচারের কুপ্রভাব প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এলিনা খান বলেন, ‘‘কোন দোশ থেকে বিদেশি মুদ্রা বেরিয়ে গেলে সেদেশের অর্থনীতি ভারসাম্য হারাতে থাকে৷ একইসঙ্গে দুর্নীতির হার বেড়ে চলতে থাকে৷ যার ফলে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষ অতিরিক্ত ধনী হয়ে যায় আর দরিদ্যশ্রেণির সামনে সমস্যা বাড়তে থাকে৷ মুদ্রাস্ফীতির কারণও হয়ে যায় এই মুদ্রা পাচার৷''

এলিনা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের আইন আন্তর্জাতিক আইনের সমতুল এই ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে অপরাধ প্রমাণিত হলে৷ সর্বনিম্ন সাজা হল ১০ বছরের কারাদণ্ড৷

এখন প্রশ্ন হল, এ পর্যন্ত কতজনের সাজা হয়েছে বাংলাদেশে এ ধরণের মামলায়? এই প্রশ্নের জবাবে এলিনা খান বলছেন, ‘‘আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই৷ দুঃখের বিষয়, মানি লন্ডারিং বা মুদ্রা পাচারের কাজ সচরাচর ধনী আর প্রভাবশালী লোকেরাই করে থাকে, তাই তারা প্রভাব এবং অর্থবলকে কাজে লাগিয়ে আইনের ফাঁক গলে চলে যায়৷''

এলিনা বলতে পারেন নি এ পর্যন্ত কারও সাজা হয়েছে কিনা৷ কারণ, আপীল ডিভিশন পর্যন্ত যায়নি এ জাতীয় কোন মামলা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য