মুক্ত সাংবাদিকতার পরিধি বাড়ছে: আলমগীর হোসেন
১১ আগস্ট ২০১১মিলন নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশে৷ এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করা হয়েছিল৷ যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই কিশোরকে হত্যা করা হয়৷ কিন্তু শুরুতে প্রচলিত গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয় মিলন৷ সেই খবরটির সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রূপ পাওয়া গেল ভিডিওতে৷ কোন সাংবাদিক নন, একজন সাধারণ নাগরিক সেই ভিডিও ধারণ করে, যা পরবর্তীতে প্রচার করা হয়৷
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানালেন, ‘‘বাংলাদেশে মুক্ত সাংবাদিকতার এমন চর্চা ব্যাপকহারে বাড়ছে৷ শুধু শহর নয়, মফস্বল, গ্রাম এমনকি দুর্গম দ্বীপ থেকেও সাধারণ মানুষ এখন মুঠোফোনে ছবি পাঠাচ্ছে৷ মূলধারার গণমাধ্যম যাচাই সাপেক্ষে সেসব গ্রহণও করছে৷''
আলমগীর হোসেন জানান, ‘‘মিলনের ভিডিও ছাড়াও একটি ছবিও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ মরদেহের পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে৷ এটিও এসেছে, একজন সাধারণ মানুষের মুঠোফোন থেকে৷''
এভাবে মূলধারার সাংবাদিকতার পাশাপাশি মুক্ত বা নাগরিক সাংবাদিকতাও মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই সম্পাদক৷ তিনি জানান, মিলনের আগে নাটোরের সানাউল্লাহ বাবু হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল মুঠোফোনে৷
আলমগীর হোসেন জানান, ‘‘মুক্ত সাংবাদিকরা ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইউটিউবে কোন বিশেষ খবর প্রচার করলে, মূলধারার গণমাধ্যম সেটিকে প্রাথমিক তথ্য হিসেবে বিবেচনা করে৷ এরপর সেই তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা হয়৷ এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের নিজস্ব প্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত হন৷ বিচার বিশ্লেষণের পর সঠিক খবরটি প্রচার করা হয় মূলধারার গণমাধ্যমে৷''
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতা শুরু করেন আলমগীর হোসেন৷ এর আগে, ৩০ বছর তিনি কাজ করেছেন দৈনিক পত্রিকায়৷ আলমগীর হোসেন জানান, ‘‘মানুষের চাহিদার কারণেই সাংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে৷ সবাই এখন অনেক দ্রুত সংবাদ পেতে চায়৷ মানুষের এই চাহিদার প্রেক্ষিতেই গড়ে উঠেছে অনলাইন পত্রিকাগুলো৷''
আলমগীর হোসেন'এর পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি পাবেন নিচের লিংকে
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসেইন আব্দুল হাই