1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, সংশয় নিরপেক্ষতা নিয়ে

১৩ আগস্ট ২০১০

জান্তা সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী ৭ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মিয়ানমারে৷ তবে গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চি এতে অংশ নিতে না পারায় তা নিরপেক্ষ হবে কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় এখনো কাটেনি৷

https://p.dw.com/p/Ompl
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিছবি: AP

মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে, তাতে নিরঙ্কুশ জয় পায় সু চি-র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি - এনএলডি৷ কিন্তু নোবেল বিজয়ী সু চি-কে ক্ষমতায় বসতে দেয়নি সামরিক সরকার৷ বরং করা হয় গৃহবন্দি৷ এরপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করেই চলছিল জান্তা সরকার, দেয়নি নির্বাচন৷ দুই বছর আগে একটি মামলায় সু চি-কে কারাদণ্ড দিয়ে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এরপর আজ শুক্রবারই নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলো৷

নির্বাচনের তারিখ হয়েছে ৭ নভেম্বর, আর সু চি-র গৃহবন্দিত্ব অবসানের তারিখ হচ্ছে ১৩ নভেম্বর৷ সু চি-কে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই যে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট৷ সু চি-কে ছাড়া ভোটে না যাওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে এনএলডি৷ আর সু চি-র বিরুদ্ধে মামলাটিও ছিল সাজানো - এরকম জোরালো অভিযোগও রয়েছে৷

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, নির্বাচনে পক্ষের দলকে জেতাতে জান্তা সরকার আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে৷ এই নির্বাচন করে নিজেদের শাসনকে একটা গণতান্ত্রিক চেহারা দিতে চাইছে তারা৷ এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়া হলো৷ অন্যদিকে, সু চি-র ক্ষমতায় যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হলো৷ এই কথাটিই বলছিলেন মিয়ানমারের নাগরিক সংগঠন ফোরাম ফর ডেমোক্রেসির সংগঠক নাইং অং৷ তিনি বলেন, ‘‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে যে পাশা উল্টে যাবে, তা জান্তা সরকার ভালো করেই জানে৷ তাই তারা এমনভাবে নির্বাচন করবে, যাতে তাদের মদদপুষ্ট দলগুলোই জয়ী হয়৷'' সামরিক সরকারের নিষ্পেষণে দেশ ছেড়ে এখন থাইল্যান্ডে আছেন নাইং অং৷

Aung San Suu Kyi Flash-Galerie
সু চি-কে ছাড়া দলটি কতদূর যেতে পারবে, তা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলে সংশয় আছেছবি: picture-alliance/ dpa

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ৪০টি দল নিবন্ধন করেছে৷ এরমধ্যে ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি পার্টি - ইউএসডিপি সামরিক সরকারের সমর্থন পেয়ে আসছে৷ নির্বাচনের প্রস্তুতিও তারা আগে-ভাগে নিতে শুরু করে৷ অন্যদিকে সু চি-র দল এনএলডি নিবন্ধনই করেনি৷ দলের মুখপাত্র নয়েন উইন নির্বাচনে না যাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বার্তা মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না৷ মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ এখনো মিয়ানমারে তৈরি হয়নি৷'' এনএলডি নিবন্ধন না করালেও দলের বেশ কয়েকজন নেতা নতুন একটি দল গড়ে নিবন্ধন নিয়েছে৷ এর নাম ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফোর্স৷ তবে সু চি-কে ছাড়া এই দলটি কতদূর যেতে পারবে, তা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলে সংশয় আছে৷

দাবি জানিয়ে এলেও নির্বাচনের আগে সু চি-র মুক্তির কোনো সম্ভাবনাও দেখছে না এনএলডি৷ সু চি-র মুক্তি দাবি করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও৷ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইতোমধ্যে বলছে, সু চি সহ কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতাকে কারাগারে রেখে নির্বাচন হয়তো করা যাবে, তবে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ