মা যখন শরণার্থী
মা যখন জীবন বাঁচাতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় খুঁজছিলেন, তখন জন্ম হয় ছেলে আলভিন জুনিয়রের৷ ছবিঘরে থাকছে এই আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থী মা ও পথিমধ্যে তাঁর সন্তান জন্মদানের গল্প৷
এর্লি মার্সিয়াল ও আলভিন জুনিয়র
গর্ভবতী মা আর্লি মার্সিয়াল হন্ডুরাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাড়ি জমান৷ পথিমধ্যে জন্ম হলো আলভিনের৷ নির্ধারিত সময়ের ছয় সপ্তাহ আগেই পৃথিবীর আলো দেখে আলভিন জুনিয়র৷
হন্ডুরাস থেকে হেঁটে যুক্তরাষ্ট্রে?
তীব্র অর্থকষ্ট ও রাজনৈতিক সহিংসতা এড়াতে হন্ডুরাস থেকে হেঁটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওয়ানা হন আর্লি মার্সিয়াল৷ এ সময় তিনি ছিলেন আট মাসের গর্ভবতী৷ সেই অবস্থায় মার্সিয়াল তার অন্য দুই সন্তানকেও ছোট ঠেলাগাড়িতে চড়িয়ে ধরে রেখেছেন শক্ত হাতে৷
রাস্তায় বিশ্রাম
পথিমধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিশ্রাম নিতেন খোলা আকাশের নীচে, রাস্তার উপর৷ দুই সন্তানকে দুপাশে শুইয়ে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতেন মার্সিয়াল৷ অনিশ্চিত যাত্রা আর সেই সাথে অনাগত সন্তানকে নিরাপদ রাখার উদ্বেগ৷
নদীতে গোসল
হন্ডুরাস থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার এ লম্বা পথে সন্তান ও নিজের দায়িত্ব নিতে হয়েছে নিজেকেই৷ পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি দিয়ে সেরে নিতেন দৈনন্দিন কর্যক্রম৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ মেক্সিকোর একটি নদীতে বাচ্চাদের গোসল করাচ্ছেন মার্সিয়াল৷
শরণার্থী দলের সাথে ট্রাকে
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মার্সিয়াল তাঁর সন্তানদের নিয়ে মিশে গেলেন একটি শরণার্থী দলের সাথে৷ লম্বা এ পথের কিছুটা অংশ একটি ট্রাকে করে পাড়ি দেয় শরণার্থী দলটি৷
রেড ক্রসের সঙ্গে
মেক্সিকোর পুয়েব্লা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় একটি রেড ক্রস দলের সন্ধান পান মার্সিয়াল৷ রেড ক্রসের এ দলটি শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে৷ অনাগত সন্তানের বিষয়ে কিছুটা শঙ্কামুক্ত হন তিনি৷
অবশেষে শুভক্ষণ
রেড ক্রসের কর্মীরা মার্সিয়াকে নিয়ে যান হাসপাতালে৷ সেখানেই জন্ম হয় আলভিন জুনিয়রের৷ সন্তানকে কোলে নিয়েই মার্সিয়া ভুলে যান লম্বা পথ পাড়ি দেয়ার কষ্ট৷
যদি মন গলে ট্রাম্পের
মেক্সিকো সীমান্তের বেড়া থামিয়ে দিলো এ পরিবারটিসহ অন্য শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা৷ কিন্তু মা মার্সিয়াল বিশ্বাস করেন আলভিনের জন্ম তাঁর জন্য শুভ আর এতেই মন গলতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ ট্রাম্প হয়তো শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেবেন তাঁদের৷