dw.com এর বেটা সংস্করণ ভিজিট করুন৷ আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি! আপনার মতামত সাইটটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে৷
আপনার জন্য সেবার মান আরও উন্নত করতে আমরা কুকি ব্যবহার করি৷ এ সম্পর্কিত আরও তথ্য পাওয়া যাবে আমাদের গোপনীয়তা নীতিতে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘‘ ঋণখেলাপি হতেই পারে৷ কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা৷ এখানে নিয়ম নীতি না মেনে রাজনৈতিক প্রভাবে ঋণ দেয়া হয়৷ আর সেই ঋণ যারা নেন তারা আর ফেরত দেন না৷ আমরা খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক দেখলেও এর দায় কিন্তু অল্প কয়েকজনের৷ ব্যাংকিং খাত তাদের নিয়ন্ত্রণে৷''
শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার বলেন, "রাজ্যের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। শিক্ষক না থাকলে পড়ুয়াদের কী অবস্থা হয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা ঠিকভাবে তৈরি হতে পারছে না।”
মঞ্চের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন,"আমাদের মঞ্চে বিএনপিসহ সমমনা যেকোনো দল যোগ দিতে পারে। আর আমাদের ধারণা এরকম আরো মঞ্চ হবে। আমাদের মঞ্চে যে যোগ দিতে হবে তা নয়। আমরা আলাদা আলাদা কাজ করব একই উদ্দেশ্যে। আমাদের লক্ষ্য বর্তমান সরকারের পতন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। "
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতি নিয়ে সরকার এখন বেশ চাপে আছে৷ রিজার্ভ কমে যাচ্ছে যাচ্ছে৷ রেমিট্যান্সও কমে যাচ্ছে৷ রপ্তানি বাড়ছে, তবে সেরকম বাড়ছে না৷ তাই সরকার অনেকটা মরিয়া হয়ে উঠছে বাইরে থেকে রেমিট্যান্স আনতে৷ পাচার করা টাকা ফেরত আনতে৷''
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আগে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সে কোনো কর ধার্য করা হতো না৷ এখানে বৈধ না অবৈধ তা নির্ধারণ করা হবে কীভাবে৷ এখন যারা বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠান তারা হয়রানির শিকার হতে পারেন৷সেটা হলে কিন্তু সামনে বিপদ হতে পারে৷রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে।''
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম. তামিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে এখন বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি৷ কার্যত এই খাতে ভর্তুকি তুলে দেয়া হয়েছে৷’’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব তুলে ধরেন৷
সিপিডির গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,“ এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ৷ তার জন্য আমাদের বড় আকারের বিদেশি ঋণ লাগবেই৷ আইএমএফ যে পরিমাণ ঋণ দিতে চায় তা পেলে আমাদের জন্য স্বস্তির কারণ হবে৷”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন বলেন,“ আইএমএফ-এর ঋণ না নিয়ে বাংলাদেশের আর কোনো উপায় নেই৷ এখন তো বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকেও ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে৷ বাজেট বাস্তবায়নে যেমন বিদেশি ঋণ লাগবে৷ তেমনি এখনকার পরিস্থিতি সামাল দিতেও এই ঋণ লাগবে৷”
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার ডয়চে ভেলেকে বলেন, “শাক্ত সাধনা নিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে। তারপর কালী নিয়ে আলোচনা থেকে নতুন কী বেরিয়ে আসবে জানি না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তৃতার আয়োজন করা। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সূচকে বিশ্বভারতী পিছিয়ে পড়েছে। সেদিকে মনোযোগ দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল।”
‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয়: বিদেশি মুদ্রা ও অর্থনীতির সংকট৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর৷
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার ব্যয় কমানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছে৷ যখন যেটা মনে হচ্ছে তখন সেই নির্দেশ দেয়া হচ্ছে৷ সবকিছু করা হচ্ছে অ্যাডহক ভিত্তিতে৷ এটার ফল পেতে হলে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নেয়া দরকার৷ তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা যায়নি৷ খুব জরুরি হলে ঠিক আছে৷ ’’
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ
ড. শামসুল আলম
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন
অধ্যাপক ড এ কে এম নূর-উন-নবী