1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালি-তে জার্মান সৈন্যরা আরো সক্রিয়

পেটার হিলে/এসি২৪ নভেম্বর ২০১৫

মালি-র দক্ষিণে ইতিমধ্যেই দু’শো জার্মান সৈন্য রয়েছে, যদিও আসল গোলযোগ উত্তরে৷ কাজেই সেখানেও এবার ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জার্মান সৈন্যদের নামানো হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1HBB7
Von der Leyen besucht Soldaten in Mali
ছবি: picture-alliance/dpa/Steffen

মালি-তে জার্মান সৈন্যরা সরকারি সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়, জাতিসংঘের সৈন্যদের বিমানযোগে রসদ সরবরাহ করে, প্রয়োজনে ফরাসি জঙ্গিজেটগুলোতে আকাশে তেল ভরার ক্ষমতাও আছে জার্মান সেনাবাহিনীর৷ মালি-তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ মিশন ও জাতিসংঘের স্থায়িত্ব মিশন মিনুসমা-য় ৫০০ জার্মান সৈন্য পাঠানোর সনদ দিয়েছিল জার্মান সংসদ৷

কিন্থু শীঘ্রই মালি-তে নিয়োজিত জার্মান সৈন্যদের সম্পূর্ণ অন্য এক ধরনের দায়িত্ব নিতে হতে পারে৷ মালি অভিযানের জন্য একটি নতুন, সম্প্রসারিত সনদের ব্যাপারে জার্মান সংসদে ধীরে ধীরে একটা মত গড়ে উঠছে৷ এই নতুন সনদের নতুনত্ব হবে: জার্মানি সৈন্যরা মালি-তে বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদিদের বিরুদ্ধে সংগ্রামেও সংশ্লিষ্ট হতে পারবে৷

প্যারিস ও বামাকো-র সন্ত্রাস

কয়েক মাস আগেই নেদারল্যান্ডস জার্মানির কাছে উত্তর মালি-তে সাহায্যের অনুরোধ করেছিল৷ ওলন্দাজরা সেখানে জঙ্গি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে৷ প্যারিস সন্ত্রাসের পর এবার ফরাসি সরকার ইইউ সদস্যদের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন৷ জার্মানি যদি মালি-তে আরো বেশি দায়িত্ব নেয়, তাহলে ফ্রান্স ইসলামপন্থি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য শক্তি সাশ্রয় করতে পারবে – এই ছিল জার্মান চিন্তা৷ বামাকো-র সন্ত্রাসের পর সে-ধারণা আরো ইন্ধন পেয়েছে৷

মালি-তে দু’শো জার্মান সৈন্য আপাতত রাজধানী বামাকো ও তার ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে কুলিকোরো নামের একটি ছোট শহরে নিয়োজিত৷ বিপজ্জনক এলাকা এর অনেকটা উত্তরে: সেখানে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি যাবৎ জাতিসংঘের ৬৫ জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন৷ তার পর আসে বামাকো-য় ব়্যাডিসন হোটেলের উপর আক্রমণ, যে আক্রমণে ১৯ জন নিহত হন৷ মাত্র দু-জন বন্দুকধারী সে আক্রমণ চালিয়েছে, এ-কথা যদি সত্যি হয়...


তাহলে আফ্রিকায় সন্ত্রাসবাদ যে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, এ আশঙ্কার কারণ আছে বৈকি৷


স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকা গত অক্টোবর মাসেই উত্তর মালি থেকে জার্মান সেনাবাহিনীর একটি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ দলের রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দেয়৷ সেই উদ্ধৃতি অনুযায়ী জার্মান সৈন্যরা উত্তরে শত্রুর খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য ড্রোন ও পদাতিক সৈন্য নিয়োগ করার কথা ভাবছে৷

মালি-র উত্তরাঞ্চলের একটি বড় সমস্যা হল চরম দারিদ্র্য৷ সেই সঙ্গে রয়েছে তুয়ারেগ উপজাতির এমএনএলএ লিবারেশন মুভমেন্টের কার্যকলাপ, ‘আনসার দিনে’-র মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় হয়ে ওটার ফলে যাদের কিছুটা পিছু হটতে হয়েছে৷ আনসার দিনে নাকি যাকে-তাকে ধরে হাতে হাজার ডলার আর কালাশনিকভ ধরিয়ে দিয়ে যুদ্ধে পাঠায়৷ অন্যান্য গোষ্ঠী লড়ছে মাদক অথবা মানুষ পাচারের অবাধ সুযোগ বজায় রাখার জন্য৷ সব মিলিয়ে মালি-তে অরাজকতা আর সন্ত্রাসের মধ্যে বিভাজনরেখা এতোই ক্ষীণ যে প্রশ্ন উঠতে পারে: জার্মান সৈন্যরা লড়বে কার সঙ্গে?



সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগ্রামে জার্মানির ভূমিকা কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? আপনার মতামত নীচের মন্তব্যের ঘরে লিখুন ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য