মালিশা খাড়ওয়া : জীর্ণ কুটিরের ‘রাজকন্যা’
‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’-এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার৷ তবে মুম্বাইয়ের বস্তির সঙ্গে মালিশার আজন্ম সম্পর্ক৷ প্রাণখোলা হাসিমুখের মালিশা খাড়ওয়া এখন সুপরিচিত মডেল এবং ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
মালিশার সর্বজয়ী হাসি
মুম্বাইয়ের এক বস্তিতে জন্ম, বস্তিতেই বসবাস মালিশার৷ তিন বছর আগে বস্তিতেই তাকে প্রথম দেখেন রবার্ট হফম্যান৷ ১২ বছরের মালিশার হাসিতে যেন মুক্তো ঝরছিল৷ হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটির সঙ্গে অনেকটা খেয়ালের বশেই কথা বলার ছলে একটা ভিডিও করেছিলেন, সেই প্রাণখোলা হাসিমুখের কিছু ছবিও তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা, কোরিওগ্রাফার রবার্ট হফম্যান৷
জীর্ণ কুটিরে প্রচারের আলো
সেদিন মালিশাকে নিযে ভিডিও করলেও তা নিজের কাছেই রেখেছেন এতদিন৷ সম্প্রতি ইন্সটাগ্রাম এবং ইউটিউবে শেয়ার করায় ভারতের এক বিখ্যাত কসমেটিক্স কোম্পানির চোখে পড়ে সেই ভিডিও৷ ভিডিওতে মা-হারা মালিশার হাসি আর তার কথাগুলো যেন ইথারে খুশি ছড়াচ্ছিল৷ কসমেটিক্স কোম্পানিটি তখন নতুন একটি আইটেমের জন্য মডেল খুঁজছে৷ ভিডিও দেখে নতুন পন্যের মডেল হিসেবে মালিশাকেই পছন্দ হয়ে যায় তাদের!
প্রচ্ছদকন্যা মালিশা
গত মার্চে ভারতের এক কসমেটিক্স ব্র্যান্ড মডেল হিসেবে বেছে নেয় মালিশা খাড়ওয়াকে৷ ১৫ বছরের মেয়েটির তারপর আর কসমোপলিটান ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হতে সময় লাগেনি৷ প্রচ্ছদে মালিশার ছবির পাশে লেখা ছিল, ‘গাটস! গাটস!গাটস!’ কেন তাকে আত্মপ্রত্যয়ী ভাবা? কোন বিশেষ যোগ্যবলে তার এই স্বীকৃতি? মালিশার বিশেষ যোগ্যতা তো একটাই- মুম্বাইয়ের বস্তির জীর্ণ কুটিরে মাতৃহীন জীবনের যাবতীয় দুঃখ-বেদনা ভুলে হাসতে পারা৷
তার আনন্দ
মডেল হওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে৷ স্কুলের পড়ার পাশাপাশি শুটিংয়ের চাপ সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় মালিশাকে৷ তবে ব্যস্ততা ভালোই লাগে৷ চেহারায় যে পরিবর্তন এসেছে, ক্যামেরায় নিজেকে যে এখন অনেক অন্যরকম দেখায়- এসব ভালোই লাগে তার৷ ভালো লাগে কেউ সেলফি তুলতে ছুটে এলে, ‘‘এখন অনেক মানুষ চেনে আমাকে৷ তারা আমার সঙ্গে ছবি তোলেন৷ ওই সময়গুলোতে খুব গর্ব হয় আমার৷’’
ইনফ্লুয়েন্সার মালিশা
সম্প্রতি বস্তিতে এক রুমের একটা ঘর ভাড়া নিয়েছে মালিশা৷ মডেলিংয়ের সুবাদে খুব দ্রুত বাড়ছে জনপ্রিয়তা৷ ইন্সটাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ইতিমধ্যে তিন লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে ৷