1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আসিফ-কাণ্ড

২১ জুন ২০২১

সীমান্তের গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আসিফকে। পরিবারের সকলকে কেন হত্যা করল সে? গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল?

https://p.dw.com/p/3vGaM
মালদা
ছবি: DW/Prabhakarmani Tewari

খুনের তদন্তের মোড় ঘুরে গেছে। মালদার কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করা আসিফের সঙ্গে গুপ্তচরদের যোগাযোগ ছিল কি না, তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। দিনকয়েক আগে ভারত-বাংলাদেশ সীামান্তের কালিয়াচক থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাকে হত্যার অভিযোগ আছে। দাদা আরিফের পানীয়ে ঘুমের ওষুধ মেশালেও তিনি বেঁচে গেছেন। গত চার মাস ধরে আসিফের হাত থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কিছুদিন আগে ওই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দুই বন্ধুকেও আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একাধিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ওই সবগুলিই আসিফের। অর্থের বিনিময়ে তা সে বন্ধুদের কাছে রাখতে দেয়। বস্তুত, পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, প্রাথমিক ভাবে বাড়ির সকলকে খুন করার জন্যই ওই অস্ত্রগুলি সে কিনেছিল। কিন্তু ব্যবহার করতে না জানায় প্ল্যান বি তৈরি করে। পানীয়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়।

মালদহ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ‘লুকোচুরি সীমান্ত’ ও ভোটের গল্প

প্রাথমিক ভাবে খুনের তদন্তই শুরু করেছিল পুলিশ। তদন্তের মোড় ঘুরে যায় আসিফের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে। সেখান থেকে অসংখ্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। মালদা জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''সমস্ত যন্ত্রের ব্যবহার আমরাও জানি না। ফরেনসিক দল এবং প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।'' পুলিশ জানিয়েছে, একটি বিষয় স্পষ্ট, যন্ত্রগুলির সাহায্যে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে সীমান্তের অন্য প্রান্তে যোগাযোগ তৈরি করা যায় বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াকি-টকি, অসংখ্য ফোনও উদ্ধার হয়েছে তার বাড়ি থেকে। পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে আসিফ ওই যন্ত্রগুলি কিনেছিল। তার জন্য বাবার একাধিক সম্পত্তি সে বিক্রি করে দিয়েছিল। আরো অর্থের জন্যই পরিবারের সকলকে সে খুন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগে মালদার ওই অঞ্চল থেকেই এক চীনের 'গুপ্তচর'কে গ্রেপ্তার করেছিল বিএসএফ। তার কাছ থেকেও প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল। অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল সে। আসিফের সঙ্গে ওই গুপ্তচরের কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদা জেলা পুলিশ বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আসিফের সঙ্গে সীমান্তের ওপারে কারো যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল কি না, সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)