মার্কিন সীমান্তে চীনা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে
২ মার্চ ২০২৪সম্প্রতি এই সীমান্তে পৌঁছানো প্রায় ৫০ জনের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক ২৪ বছর বয়সি গুও৷ তিনি চীনের শেনজেন থেকে ইকুয়েডর হয়ে মার্কিন সীমান্তে পৌঁছেছেন৷ চীনের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই ইকুয়েডরে যাওয়া যায় বলে তিনি প্রথম ইকুয়েডর যান৷ সেখান থেকে ল্যাটিন ও মধ্যে অ্যামেরিকার অন্যান্য দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন সেটিই ব্যবহার করেছেন তিনি৷
মার্কিন ‘কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন' বা সিবিপি বলছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার চীনা নাগরিককে সীমান্তে নিবন্ধন করা হয়েছে৷ ২০২১ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৫৫৷
পরিসংখ্যান বলছে, চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার হার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি৷ মার্কিন বিচার বিভাগের হিসাব বলছে, ৫০ শতাংশের বেশি চীনা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে৷ মেক্সিকোর ক্ষেত্রে সংখ্যাটি মাত্র চার শতাংশ৷
শিক্ষক যখন টিকটিক
গুও জানান, কোন রুটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছা যাবে, কোন সময় কী করতে হবে, কী ধরনের পরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনকি কোন সীমান্তে কাকে কতটাকা ঘুস দিতে হবে- সব তথ্য টিকটকে পাওয়া যায়৷
যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের চীনা বিশেষজ্ঞ ইয়ান জনসন বলছেন, চীনের মানুষ তথ্য পেতে সামাজিক মাধ্যমের উপর বেশি নির্ভর করেন৷
চীন ছাড়তে চাওয়ার কারণ
গুও বলছেন, চীনে অনেক সমস্যা আছে৷ ‘‘তরুণেরা শহরে বাসা কিনতে পারে না,'' বলেন তিনি৷ গুও জানান, তিনি চীনের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা, কমিউনিস্ট পার্টি এবং টোটালিটারিয়ানিজম পছন্দ করেন না৷
এদিকে, ইয়ান জনসন বলছেন, ‘‘অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে, বেকারত্ব অনেক বাড়ছে, আগামীতে ডিফ্লেশনের পূর্বাভাস আছে, অনেক কোম্পানি খেলাপি হয়ে যেতে পারে৷'' তিনি বলেন, অর্থনীতির দুরবস্থার কারণে শুধু গরিব মানুষের সমস্যা হচ্ছে না, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়ছেন৷ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়ছে বলেও অনেকে চীন ছাড়তে চাইছেন বলে মনে করেন জনসন৷
২০২৩ সালের ছবিঘর
ফ্রান্সিসকা ভ্যুয়স্ট/জেডএইচ