ইসলামিক স্কুলে পড়ার সময় নিজের শিক্ষাজীবনের কিছু কথা এখনো মনে পড়ে হিন্দ মাক্কির৷ মধ্যপ্রাচ্য থেকে অভিবাসী হয়ে আসা মুসলিম পরিবারের অনেকেই কথার মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ অ্যামেরিকানদের ‘আবদ' বা ‘দাস' বলে উল্লেখ করতো৷ কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে কী হতো? মার্কিন সমাজে বর্ণবাদ নিয়ে এক আলোচনায় শিক্ষার্থী হিন্দ মাক্কি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘‘অন্তত ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে যারা এসব শব্দ ব্যবহার করছে, তারা উত্তর দিতো ‘ও, আমরা তো তোমাকে বলছি না, অ্যামেরিকানদের বলছি৷'''
হিন্দ মাক্কি নিজেকে একজন কৃষ্ণাঙ্গ আরব মুসলিম নারী বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ সেমিনারে মাক্কি বলেন, ‘‘কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী যে মানসিকতা গড়ে উঠেছে নানা স্তরে, এটিও তার একটি রূপ৷''
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে পুরো দেশ স্থবির করে দেয়া বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মুসলিমরাও৷ এর পর থেকে মার্কিন মুসলিম সমাজে বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের মানুষকে কিভাবে দেখা হয়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে৷ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বাস অ্যামেরিকায়৷ প্রশ্ন উঠছে, ইসলাম যখন সবাইকে সমানভাবে দেখার আহ্বান জানাচ্ছে, সেই ধর্মের অনুসারীরা কি বর্ণবাদী আচরণ থেকে বের হতে পারছেন?
মাক্কি বলেন, ‘‘এখন সবাই এ নিয়ে আলোচনা করছে৷ ৭০-এর দশক থেকে অ্যামেরিকায় বাস করা কোনো বয়স্ক ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য, এমনকি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরাও৷ যেসব বর্ণবাদী শব্দ কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়, সেসব নিয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়া উচিত৷ জাতিগত বৈষম্য আমরা কিভাবে দূর করতে পারি, এ নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত৷''
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
বাকস্বাধীনতার ‘হামলা’ পরিহার
ব্যক্তি থেকে পরিবার, পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র- এভাবে ছোট থেকে খুব বড় পরিসরে বিভিন্ন রূপে থাকে বর্ণবাদ৷ মুখের কথায়ও তা ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে৷ ক্যানাডার অ্যালবার্টা সিভিল লিবার্টিজ রিসার্চ সেন্টার বলছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ হিসেবে যা কিছু বলা বা লেখার মাধ্যমেও তা ব্যাপক হারে ছড়ায়৷ তাই ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির নামে পক্ষপাত বা ঘৃণা প্রকাশ পরিহার করুন৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
উদারতায় শ্রেষ্ঠত্ব, অহঙ্কারে নয়
উদারতায় শ্রেষ্ঠত্ব, অহঙ্কারে নয়৷ ধর্ম, জাতপাত, গায়ের রং, উচ্চতা, ভাষা, আঞ্চলিকতা ইত্যাদি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করাও বর্ণবাদের নামান্তর৷ যে সমাজ বা রাষ্ট্রে এসব প্রবণতা যত কম, সেই সমাজ বা রাষ্ট্র তত বেশি বর্ণবাদমুক্ত৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
অসহিষ্ণুতা ও উগ্রতা বর্জন
কারো মত বা কাজ পছন্দ না হলে তাকে শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত করার প্রবণতা প্রায় সব সমাজেই দেখা যায়৷ এমন অসহিষ্ণু এবং বিদ্বেষপূর্ণ আচরণে বর্ণবাদ বিস্তৃতি পায়৷ গালাগাল, হুমকি, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ইত্যাদিও এমন আচরণের অন্তর্ভুক্ত৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ান
যে কোনো স্থানে নির্দিষ্ট ব্যক্ত , শ্রেণি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অশ্লীলতা কিংবা কুৎসা ছড়ানোর অপপ্রয়াস না রুখলে অপশক্তির সক্রিয়তা বাড়ে৷ ফলে ঘৃণার সঙ্গে সঙ্গে নানা পর্যায়ে বর্ণবাদও বাড়ে৷ মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন প্রতিটি মানুষের উচিত এসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
রুখে দিন সাইবার দুনিয়ার বর্ণবাদ
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ক তথ্যের উৎস সায়েন্সডাইরেক্ট ডটকম দশ বছরের এক গবেষণা শেষে বলেছে, ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে সাইবার দুনিয়ায় বর্ণবাদী তৎপরতা ব্য্যাপকহারে বেড়েছে৷ ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগতভাবে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের বর্ণবাদী প্রচার৷ যে কোনো সমাজে বর্ণবাদ রুখতে সাইবার দুনিয়ায় মানবিকতার প্রসার জরুরি৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
প্রমান রাখুন, কর্তৃপক্ষকে জানান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর যে কোনো বক্তব্যের প্রমাণ রেখে দেয়া উচিত৷ অনেক সময় সম্মান এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সাইবার অপরাধ দমন বিভাগকে প্রমাণসহ বিষয়টি জানানো জরুরি হয়ে পড়ে৷
-
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
সংঘাত নয় সমর্থন চান
সব দেশের সব মানুষের সুখে শান্তিতে থাকার অধিকার আছে৷ কারো বর্ণবাদী আচরণে শান্তি বিঘ্নিত হলেও সংঘাতে না যাওয়া ভালো৷ সংঘাতে অনেক সময় সমস্যা বাড়ে৷ তাছাড়া সংখ্যা বা শক্তিতে পিছিয়ে থাকাদেরই বেশি টার্গেট করে বর্ণবাদীরা৷ সেক্ষেত্রে প্রতিকার বা আত্মরক্ষার জন্য ‘প্রতিবেশীদের’ সমর্থন বা সহযোগিতা চান৷
মুসলিম সমাজে আলোচনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সমাজ বেশ বৈচিত্র্যময়৷ কোনো একক জাতিগত আধিক্য নেই এখানে৷ তবে ২০১৭ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে দেখা গেছে, কৃষ্ণাঙ্গরা এর প্রায় ২০ শতাংশ৷
বর্ণবাদবিরোধী মুসলিমদের সংগঠন মুসলিম এআরসি -র নির্বাহী পরিচালক মার্গারি হিল জানিয়েছেন, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার পর এখন আরো বেশি মুসলিম এ নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন৷ আরবি, বাংলা এবং অন্যসব ভাষাতেও কোন কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে এবং কোনটা ‘উচিত না' সেসব তথ্য জানতে চাইছেন তারা৷ কেউ কেউ জিজ্ঞেস করছেন কাউকে ‘ব্ল্যাক' বলা যাবে, নাকি ‘আফ্রিকার অ্যামেরিকান' বললে ভালো হবে৷
হিল বলেন, ‘‘আমরা মুসলিমদের আহ্বান জানাই অতীতের কোনো কুসংস্কার বা বিদ্বেষ মনের মধ্যে থেকে থাকলে তা ঝেড়ে ফেলুন৷ এখন সত্যিকার অকৃত্রিম সম্পর্ক গড়ে তোলার সময়৷''
মিশিগানের অ্যামেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিলের পরিচালক দাউদ ওয়ালিদও এই আলোচনা শুরু হওয়ায় আশাবাদী৷ কিন্তু তার প্রশ্ন, ‘‘এই বিক্ষোভ শেষ হয়ে গেলেও কি মুসলিম সমাজে আলোচনাটা চলবে?''
বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ওয়ালিদ৷ সেসব সংগঠনেও বিভিন্ন বর্ণের মুসলিমকে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি৷
ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ অ্যামেরিকা- ইসনা-র নির্বাহী পরিচালক বাশারাত সলীমও ওয়ালিদের এই আহ্বানের সঙ্গে একমত৷ সলীমের ইসনা সংগঠনের পরিচালনা বোর্ডে কোনো কৃ্ষ্ণাঙ্গ মুসলিম নেই৷ নিজের সংগঠনে জাতিগত বিভেদ কমিয়ে আনতে অনেক কিছু করার কথা বললেও এখনো অনেক কিছু করা বাকি বলেও স্বীকার করেন সলীম৷
উদাহরণস্বরূপ ইসনার এক বার্ষিক সম্মেলনের কথা বলেন তিনি৷ আফ্রিকান-অ্যামেরিকান মুসলিম নেতাদের কথা বলার আহ্বান জানানো হলেও তাদের পক্ষ থেকে কেউ আসেননি৷ সলীম বলেন, ‘‘আমাদের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আরো বেশি আলোচনা প্রয়োজন৷''
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
২৫ মে, ২০২০, মিনেপোলিস
জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ৪৬ বছর বয়সি জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে তাঁর গলায হাঁটু দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন৷ এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হলে শভিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়৷ এছাড়া শভেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, আর্লিংটন
গাড়িতে নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ট্যাগ থাকার কারণে ও’শে টেরিকে আটক করেছিলেন টেক্সাসের পুলিশ কর্মকর্তারা৷ এরপর একজন অফিসার গাড়িতে মারিজুয়ানার গন্ধ পেয়ে তদন্ত করতে চাইলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন টেরি৷ এই সময় পুলিশ কর্মকর্তা বাও ট্রান গাড়িতে গুলি করলে টেরি গুলিবিদ্ধ হন৷ পরে হাসপাতালে মারা যান৷ এই ঘটনায় বাও ট্রানকে বরখাস্ত করা হয়৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
১৯ জুন, ২০১৮, পিটসবার্গ
১৭ বছর বয়সি অ্যান্টোন রোজসহ তিনজন একটি গাড়িতে ছিলেন৷ গাড়িটি একটি গোলাগুলির ঘটনা সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করেছিল পুলিশ৷ এই অবস্থায় গাড়ির চালককে হাতকড়া পরানো হয়৷ আর গ্রেপ্তার আটকাতে অ্যান্টোন রোজ পালিয়ে যেতে চাইলে গুলি চালান পুলিশ কর্মকর্তা মাইকেল রসফেল্ড৷ এই ঘটনায় মামলা হলেও রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন রসফেল্ড৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ওকলাহোমা
রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা গাড়ির চালক টেরেন্স ক্রুচারকে গুলি করেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বেটি শেলবি৷ মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে শেলবি দাবি করেন, ক্রুচার তার গাড়ির কাছে এগিয়ে গেলে ভয় পান তিনি৷ কারণ তার মনে হয়েছিল, বন্দুক নিতে ক্রুচার গাড়ির দিকে এগোচ্ছেন৷ তাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালান বলে দাবি করেন শেলবি৷ আদালত তাকে হত্যা মামলা থেকে রেহাই দিয়েছিল৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
৬ জুলাই, ২০১৬ মিনেসোটা
লাইসেন্স ও নিবন্ধন পরীক্ষা করে দেখতে ফিল্যান্ডো ক্যাস্টিলের গাড়ি থামিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা জেরনিমো ইয়ানেস৷ এই সময় ইয়ানেস তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা জানিয়ে হাত বাড়ালে গুলি চালান ইয়ানেস৷ এতে ক্যাস্টিল মারা যান৷ তবে তার সঙ্গে থাকা পার্টনার ডায়মন্ড রেনল্ডসের দাবি, ক্যাস্টিল নথি বের করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন৷ মামলাটি তিন মিলিয়ন ডলারে মীমাংসা হয়েছিল৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
২০ অক্টোবর, ২০১৫, শিকাগো
পুলিশ কর্মকর্তা জেসন ফান ডাইকের গুলিতে প্রাণ হারান লেকান ম্যাকডোনাল্ড৷ তার কাছে একটি তিন ইঞ্চি ছুরি ছিল৷ পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ডাইক ম্যাকডোনাল্ডকে ছুরি ফেলে দিতে বললে তিনি তা করেননি৷ পরে জানা যায়, ম্যাকডোনাল্ডকে ১৬ বার গুলি করা হয়৷ এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ডাইককে ছয় বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সঙ্গে পুলিশ সদস্য়সহ ১৬ জন জড়িত ছিল বলে জানান প্রধান পুলিশ পরিদর্শক৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
১২ এপ্রিল, ২০১৫, বাল্টিমোর
পকেটে ছুরি থাকায় ২৫ বছরের ফ্রেডি গ্রেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ এইসময় পুলিশ ভ্যানে কোমায় চলে গেলে তাকে একটি ট্রমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত কারণে তিনি মারা যান৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু হলেও কারও শাস্তি হয়নি৷
-
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
৯ আগস্ট, ২০১৪, মিসৌরি
নিজেদের মধ্যে সংঘাতের এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের গুলিতে প্রাণ হারান ১৮ বছরের মাইকেল ব্রাউন৷ এই ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি উইলসনকে অভিযুক্ত না করলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ পরে উইলসন পদত্যাগ করেন৷ এছাড়া ব্রাউনের পরিবারও মীমাংসায় বসেছিল৷
অভিবাসী বনাম কৃষ্ণাঙ্গ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিমরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন৷ একদিকে বর্ণবাদ অন্যদিকে ইসলামবিদ্বেষের থাবায় তারা বিপর্যস্ত৷
বর্ণবাদের স্বীকার হওয়াটা কখনো কখনো খুব ‘ক্লান্তিকরও' হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন মার্গারি হিল৷ তিনি জানান, একবার একটি দোকানে কোরান কিনতে গেলে দোকানদার তাকে আরবিতে ‘দাস' বলে উল্লেখ করেন৷ দোকানের মালিক ছিলেন আরব মুসলিম৷ এক পর্যায়ে দোকানদার তাকে জিজ্ঞেন করেন তিনি সত্যিই কোরান পড়তে পারেন কিনা৷
ওয়ালিদ মনে করেন, ইসলাম সবসময়ই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছে৷ ফলে ইসলাম যা বলেছে, মুসলিমরা সেটি সঠিকভাবে পালন করলেই এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব৷ কেবল আলোচনা এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনা ও মেলামেশার মাধ্যমে সম্প্রীতি গড়ে তুললেই সেটি সম্ভব বলে মনে করেন অ্যামেরিকার মুসলিম নেতারাও৷
এডিকে/এসিবি (এপি, আটলান্টিক, নিউ ইয়র্ক টাইমস)