1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন মিলিটারি মহিলা সৈনিকদের যুদ্ধে পাঠানোর কথা ভাবছে

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

মার্কিন সেনাবাহিনীতে মহিলা সৈনিকদের ভূমিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিষেধ৷ কিন্তু ইরাক এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে সেই মহিলা সৈনিকদের ভূমিকার ফলে কর্মকর্তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/MEFQ
২০০১ সাল যাবৎ জার্মান মহিলা সৈনিকরা কমব্যাট ইউনিটে যোগ দিতে পারেনছবি: AP

মার্কিন সামরিক বাহিনীর চীফ অফ স্টাফ জেনারেল জর্জ কেসি গত সপ্তাহে বিধায়কদের বলেন, মহিলা সৈনিক সংক্রান্ত নীতি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে৷ যুগপৎ মার্কিন মিলিটারি মহিলাদের ডুবোজাহাজে কাজ করার উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যদিও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের এককালে বড়াই ছিল যে, পুরুষদের এই খাস এক্তিয়ারটি কোনোদিনই বেহাত হবে না৷

সংজ্ঞাবিহীন রণক্ষেত্র

যে সব সৈন্যগোষ্ঠী ভূমিযুদ্ধে সংশ্লিষ্ট, সেগুলি থেকে মহিলাদের দূরে রাখার অঘোষিত নীতি সত্ত্বেও, ইরাক এবং আফগানিস্তানের সংঘাত মহিলাদের সশস্ত্র সংঘাতের সংস্পর্শে এনেছে, কেননা ইরাক কি আফগানিস্তানে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ কোনো বাঁধা রণাঙ্গণে আবদ্ধ থাকে না৷ যার ফলে মহিলারা ঐ সব সংজ্ঞাবিহীন রণক্ষেত্রে তাঁদের বীরত্বের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন এবং পদকে ভূষিত হয়েছেন৷ একাধিক মার্কিন অধিনায়ক বাস্তবে দেখেছেন এবং পরে মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, তাঁদের সেরা জেরা-করিয়ে অথবা ট্যাঙ্ক মেকানিক একজন মহিলা সৈনিক ছিলেন৷ কাজেই ১৯৯০-এর দশকের নীতি এখন পরিবর্তন করার সময় এসেছে বলেই তাঁরা মনে করেন৷

জেন্ডার নিরপেক্ষ

এবং সে বাস্তব সম্পর্কে পেন্টাগনও অনবহিত নয়৷ যেমন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস-এর প্রেস সচিব জিওফ মরেল প্রকাশ্যভাবে স্বীকার করেছেন যে, ‘‘বাস্তবিকভাবে বহু উর্দিধারী মহিলা প্রতিদিনই কমব্যাট মিশনে যাচ্ছেন, তা তাঁরা হেলিকপ্টার পাইলটই হোন, মেডিকই হোন বা লজিস্টিক সাপোর্টেই থাকুন''৷ অপরদিকে কমান্ডাররাও এককথায় বলছেন, তাঁরা সবচেয়ে দক্ষ সৈনিকদের তাঁদের ইউনিটে চান, তা তারা পুরুষই হোক, আর মহিলাই হোক৷ কমান্ডাররা চান দক্ষতা অথবা শারীরিক ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে তথাকথিত ‘‘জেন্ডার নিরপেক্ষ'' বাছাই: মহিলারা ও' কাজ পারবেন না, এটা গোড়া থেকেই ধরে নেওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে তাঁদের অভিমত৷

মায়ের যুদ্ধযাত্রা

তবে মার্কিন মুলুকের রক্ষণশীল অংশের কাছে বিতর্কের এখানেই শেষ নয়, কেননা মায়েদের, বিশেষ করে একা মায়েদের যুদ্ধে পাঠানোর ব্যাপার আছে৷ ‘মা যুদ্ধে যাচ্ছে, এটা দেখার ফল ছেলেমেয়েদের ওপরে কি হবে?' - লিখেছেন মেরি এবারস্টাট এই শুক্রবারের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়৷ অপরদিকে ইরাক এবং আফগানিস্তানের যুদ্ধে যে ২,২০,০০০-এর বেশী মহিলা অংশ নিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১২০ জনের বেশী প্রাণ দিয়েছেন, সে কথাও সত্য৷ কাজেই ভূমিযুদ্ধের উপর নিষেধাজ্ঞা একদিন না একদিন উঠতে বাধ্য৷ তবে সেটা নারীত্বের জয় না পরাজয়, তা নিয়েও দ্বিধা থেকে যেতে বাধ্য৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক