1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ার কূপ নারীর গল্প

১ এপ্রিল ২০১৪

আফ্রিকার আর দশটা দেশের মতোই নাইজেরিয়ার সমাজটাও বড় বেশি পুরুষতান্ত্রিক৷ তবে সেই পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজাল ভেদ করে অন্যরকম এক পেশায় নিয়োজিত নাইজেরিয়ার এক নারী৷ আর সেই পেশার কারণেই তাঁর নাম কূপ নারী৷

https://p.dw.com/p/1BZ9q
Niger Brunnen Wüstenbildung
ছবি: DW/L. M. Hami

মেগাসিটি লাগোস এবং এর আশেপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা যেমন রয়েছে, তেমনি পানির সরবরাহও অনেক কম৷ লাগোসের রাজ্য পানি কর্পোরেশন জানিয়েছে, শহরের ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের প্রতিদিন ৫৪ কোটি গ্যালন পানি প্রয়োজন৷ যেখানে তারা পাচ্ছে মাত্র ২১ কোটি গ্যালন পানি৷ ২০২০ সালে এই পানির চাহিদা দাঁড়াবে দিনে ৭৪ কোটি ৫০ লাখ গ্যালন৷ তখন ঐ শহরের জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৯০ লাখ৷ এ কারণে ট্যাংকার এবং ব্যাক্তিগত কূপের চাহিদা বাড়ছে৷ সেইসাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে বিশুদ্ধ পানির চাহিদাও বাড়ছে৷

পানির এই স্বল্পতা রাবিয়ু-র মতো কূপ খননকারীদের ব্যবসার সুযোগ বাড়িয়েছে৷ অথচ রাবিয়ু এই কাজটা শুরু করেন ১৯৯৭ সালে৷ এই কাজটা শিখেছিলেন তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছ থেকে৷ এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ এখন তিনি পরিচিত মামা কাঙ্গা বা কূপ নারী নামে৷ ৪৬ বছর বয়সি ওলোলাদে রাবিয়ু ছয় সন্তানের জননী৷ আফ্রিকার লাল মাটি খুঁড়ে বিশুদ্ধ পানি বের করে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি৷ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে রাবিয়ু জানান, কূপ খোঁড়ার এই পেশায় একমাত্র নারী হওয়ায় তিনি ভীষণ খুশি৷ রাবিয়ু বলেন, ‘‘আমি এই কাজটা করতে ভালোবাসি এবং উপভোগ করি৷ এমন কোনো কূপ নেই যেখানে আমি প্রবেশ করতে পারি না৷''

Symbolbild - Verschleierte Frau in Nigeria
কে এই কূপ নারী?ছবি: Getty Images

তিনি কাজটাকে এভাবে ব্যাখ্যা করেন, ‘‘শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না কিন্তু আমি আমার ভয় কাটিয়ে উঠেছি এবং পেশা নির্বাচনে আমার কোনো ভুল হয়নি৷ আমার স্বামী কুয়ো খননের প্রাথমিক বিষয়, যেমন কোথায় পানির স্তর কেমন, পানির গভীরতা, কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে, কি কি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে এ বিষয়ে ভালোভাবে বোঝান৷ এরপর বিষয়টা আমার কাছে সহজ হয়ে যায়৷''

রাবিয়ুর প্রতিবেশী এবং গ্রাহকরা তাঁর যোগ্যতার প্রশংসা করেন৷ তাঁদেরই একজন বলেন, ‘‘প্রায় সাত বছর আগে তিনি আমার কুয়াটি খনন করেছেন এবং এত ভালোভাবে করেছেন যে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি৷ আমার মনে হয় এ বিষয়ে তিনি একজন শিল্পী এবং অন্য অনেক পুরুষের চেয়ে তিনি বেশ দক্ষতার সাথে এটা করেন৷''

রাবিয়ুর এক সন্তান স্পেনে আছেন এবং সেখানে তিনি এই ব্যবসার সাথে জড়িত৷ রাবিয়ু বলেন, কাজটা বেশ বিপদজনক এবং এতে মেরুদণ্ড ভাঙার একটা ভয়ও থাকে৷ তবে নিজের উপর এবং সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখা উচিত৷

রাবিয়ু এই পেশার পাশাপাশি কূপ খননে প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন৷ তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া ইউসুফ মাইনাসারা বললেন, ‘‘মামা কাঙ্গা আমাদের রানি, আমাদের হিরো এবং আমাদের মা৷ আমরা আসলেই তাঁর জন্য গর্বিত৷''

এপিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য