1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষ পাচার

ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/এসি২৮ জুন ২০১৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন উত্তর আফ্রিকার মানুষ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চায়৷ শেযমেষ তাদের উদ্বাস্তুদের ওপর গুলি চালাতে হবে, বলে ক্রিস্টফ হাসেলবাখ-এর আশঙ্কা৷

https://p.dw.com/p/1FnN5
Deutschland Bundeswehr-Übung Pulsar (Bildergalerie)
ছবি: DW/D. Stute

ইউরোপমুখি উদ্বাস্তুর স্রোতের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ নীতি ধীরে ধীরে আকৃতি ধারণ করছে৷ একদিকে উদ্বাস্তুদের উদ্ধার করে তাদের আশ্রয় দেওয়া; অন্যদিকে মানুষ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই, এবং উদ্বাস্তুদের পলায়নের আসল কারণগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া৷

ইইউ কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী উদ্বাস্তু নেওয়ার কোটা বেঁধে দেওয়ার অলীক আশা করে কোনো লাভ নেই, কেননা বহু ইইউ দেশ কোটা প্রণালীর বিপক্ষে৷ ডেনমার্কের সংসদীয় নির্বাচনে বহিরাগত-বিদ্বেষি একটি দলের জয় আবার এই অনুভূতিকে জোরদার করেছে যে, ইউরোপীয় রাজনীতি অভিবাসন সমস্যার মোকাবিলা করতে সমর্থ নয়৷

গাদ্দাফিকে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন

সদ্য অনুমোদিত মিলিটারি মিশন শীঘ্রই শুরু হবে৷ প্রথমে জাহাজ, ডুবোজাহাজ কিংবা ড্রোন থেকে যখন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানুষ পাচারকারীদের রুটগুলো শনাক্ত করা ছাড়া, আর তাদের মধ্যে পাণ্ডা কে, তা খুঁজে বার করার চেয়ে বেশি কিছু উদ্ধার করতে পারবে না৷কাজেই এই সম্মিলিত মিলিটারি মিশনের আয়োজন করতে এতো সময় লেগে গেল কেন, তা বোঝা দায়৷

Hasselbach Christoph Kommentarbild App
ক্রিস্টফ হাসেলবাখ

স্মাগলারদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানকারি হলো শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়৷ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে বোটগুলি খুঁজে বার করে সেগুলিকে ধ্বংস করতে হবে – দরকার হলে লিবিয়ার উপকূলে কিংবা রাজ্যাঞ্চলে৷ সেজন্য অবশ্যই জাতিসংঘের সনদ বা লিবিয়া সরকারের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে৷ কিন্তু লিবিয়ায় এখন একটি নয়, দু'টি সরকার বিরাজ করছে, যারা যারা আবার পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত৷ সেই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা নিজের মেজাজ ও মর্জিতে চলে৷ অর্থাৎ যে দেশ হয়ে ভূমধ্যসাগরের ৮০ শতাংশ উদ্বাস্তু ইউরোপের দিকে এসে থাকেন, সে দেশটা অরাজক৷ ফলে কিছু ইউরোপীয়র এখন খোদ মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্য মন কেমন করছে! ওদিকে রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া জাতিসংঘের সনদ পাওয়া শক্ত হবে৷ কাজেই ইউরোপীয়দের এখন তাদের দোরগোড়ায় একটি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের' সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করা ছাড়া কোনো পন্থা নেই৷

Italien Untergang Flüchtlingsboot - gerettete Flüchtlinge aus Lybien
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Montanalampo

এবং যেহেতু সামরিক অভিযানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় শীঘ্র শুরু হবার বিশেষ আশা নেই, সেহেতু আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে উদ্বাস্তুর স্রোত অব্যাহত থাকবে৷ কেন না উদ্বাস্তুদের দৃষ্টিতে মানুষ পাচারকারীদের হাতে যাবতীয় সঞ্চয় তুলে দিয়ে ইউরোপে আসার প্রচেষ্টা করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই৷ কাজেই শেষমেষ এই মিলিটারি মিশন খোদ উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু হবে না – যতদিন পর্যন্ত না উদ্বাস্তুদের বৈধভাবে ইউরোপে আসার একটা পথ খুলে দেওয়া হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান