মাদক মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতের আমলে
১৫ নভেম্বর ২০২১আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই তারিখ ঠিক করেন৷ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন৷
পরীমনি আজ আদালতে হাজির ছিলেন৷ ১৩ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়৷ পরীমনিসহ মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন জামিনে আছেন৷
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব মাদকদ্রব্য ৷ পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷
৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন ৷ ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন ৷
গত ৪ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ৷ অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে ৷
পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না বলে অভিযোহপত্রে বলা হয়েছে৷ সিআইডিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয় এবং ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের ৩০ জুন ৷ পরীমনি মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন৷ বাসায় মাদকদ্রব্য রাখা নিয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি চিত্রনায়িকা পরিমনি৷
এনএস/কেএম (দৈনিক প্রথম আলো)