1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মস্কোয় তালেবান নেতৃত্ব, দশ দেশের সঙ্গে বৈঠক

২১ অক্টোবর ২০২১

ক্ষমতা দখলের পর মস্কোয় সবচেয়ে বড় বৈঠকে যোগ দিল তালেবান নেতৃত্ব। রাশিয়া ছাড়াও চীন এবং পাকিস্তান ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।

https://p.dw.com/p/41wgs
তালেবান
ছবি: Sergei Bobylev/TASS/dpa/picture alliance

মধ্য এশিয়ায় ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মস্কোয় বৈঠকের আয়োজন করেছে রাশিয়া। সেখানে আহ্বান জানানো হয়েছিল তালেবান নেতৃত্বকে। বুধবার সেই বৈঠকে তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রেমলিনের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, বিবিধ বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে তালেবানের সঙ্গে। তবে এখনই তালেবানকে তারা স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ওই বিষয়টি আলোচনাসূচিতেও রাখা হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তালেবানও।

মস্কোয় তালেবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালেবান প্রশাসনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি। বুধবার তার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারজেই লাভরভের। তালেবান নেতৃত্বের কাছে একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে রাশিয়া। আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে তারা চিন্তিত। তথ্য-সহ ইলামিক স্টেটের কার্যকলাপ নিয়ে তালেবান নেতৃত্বের উপর রীতিমতো চাপ তৈরি করেছে রাশিয়া।

পুটিনের বক্তব্য

দিনকয়েক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করছে আইএস জঙ্গিরা। আফগানিস্তান থেকে তারা পুরনো সোভিয়েতের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা করেছে। রাশিয়াতেও তারা ঢোকার চেষ্টা করছে।

এদিনের বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে দুই হাজার আইএস জঙ্গি আফগানিস্তানে জড়ো হয়েছে। শরণার্থীর ছদ্মবেশে তারা মধ্য এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, তালেবানকেই এর মোকাবিলা করতে হবে। আইএস জঙ্গিরা যাতে আফগানিস্তানে জায়গা না পায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এর পাশাপাশি তালেবানের সঙ্গে মানবিক বিষয়, অধিকারের বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে বলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। তালেবান যাতে এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেয়, তা নিয়ে কথা হয়েছে দুইপক্ষের।

বৈঠক শেষে তালেবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাদের বিশ্বাস, এই আলোচনা আরো অনেক দূর এগোবে। তবে রাশিয়া যে এখনো তাদের স্বীকৃতি দেয়নি, তা নিয়ে তালেবান মুখপাত্র কোনো আলোচনা করেননি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তালেবান নেতৃত্ব কথা রাখেনি বলেই তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তালেবান পুরোপুরি ক্ষমতা দখলের আগেই রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছিল, গোটা আফগানিস্তানের প্রতিনিধি নিয়ে তালেবানকে সরকার গঠন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সে কারণেই রাশিয়া তাদের স্বীকৃতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভবিষ্যতে তালেবান সকলকে নিয়ে সরকার গড়লে কী হবে, তা নিয়ে অবশ্য তিনি মন্তব্য করতে চাননি।

তবে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে রাশিয়া যে মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে, তা পরিষ্কার। সে কারণেই সব দেশ বন্ধ করলেও রাশিয়া কখনোই কাবুলের দূতাবাস বন্ধ করেনি। চীন এবং পাকিস্তানও তা বন্ধ করেনি। মস্কোর বৈঠকে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)