1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্দির, মসজিদ খুলছে পশ্চিমবঙ্গে

২৯ মে ২০২০

করোনার মধ্যেই সোমবার থেকে মন্দির, মসজিদসহ পশ্চিমবঙ্গের  সব ধর্মস্থান খুলে যাচ্ছে। ৮ জুন থেকে রাজ্যে সব অফিসও খুলে যাবে। 

https://p.dw.com/p/3czNJ
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar

চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পরই রাজ্যে সব ধর্মস্থানের দরজা খুলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, শনিবার থেকে ধর্মস্থান পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।  তারপর আগামী ১ জুন থেকে সব ধর্মস্থান খুলে যাবে। তবে ধর্মীয় উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হবে না। মন্দির, মসজিদ, গির্জাসহ সব ধর্মস্থানে একবারে ১০ জন লোক ঢুকতে পারবেন। ঢোকার মুখে স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং তা হাতে লাগাতে হবে।  মমতার হুঁশিয়ারি, নিয়মের অন্যথা হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ জুন থেকে চা বাগান ও চটশিল্পও পুরোপুরি খুলে যাবে। আর তার সাতদিন পরে অর্থাৎ ৮ জুন থেকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি, বেসরকারি সব অফিস খুলে যাবে। তবে স্কুল-কলেজ জুন মাসে খুলবে না।

করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই কেন ধর্মস্থান খুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? কেনই বা ৮ তারিখ থেকে সব অফিস খুলে দেওয়া হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, ''কেন্দ্রীয় সরকার যখন ট্রেনে হাজার হাজার শ্রমিককে গাদাগাদি করে ফেরত পাঠাতে পারে, তখন ধর্মস্থানের দরজাও খুলতে পারে। মানবিকতা ভালো ধর্ম। আসুন, আমরা মানবিক হই।''  

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ''আইন সকলের জন্য এক। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে,  বড় অনুষ্ঠান করা যাবে না। লকডউনের নিয়ম হলো ১৫ জনের বেশি লোকের জমায়েত করা যায় না। তাই ১০ জন করে ঢুকতে পারবেন। একটু একটু করে ধর্মস্থান খুলুক। দেব-দেবীর পুজো হোক। উপাসনা হোক। বড় উৎসব, পুজো বন্ধ থাকবে।'' তবে মমতা প্রথম নন, এর আগে কর্ণাটকের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা ১ জুন থেকে ধর্মস্থান খোলার কথা জানিয়েছিলেন।

আর অফিস খোলার জন্য মমতার যুক্তি, করোনাকে সঙ্গে  নিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। করোনা যাতে না হয়, তার জন্য সব ধরনের সাবধানতা বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান বা স্যনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর জমায়েত করা যাবে না। বাজারে নয়, অন্যত্রও নয়।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আমফানের জন্য ছয় হাজার ২৫০ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। তার মধ্য়ে এক লাখ লোকের অ্যাকাউন্টে এদিনই বাড়ি তৈরির জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জিএইচ/এসিবি (এএনআই, আবাপ)