মন্দায় ডানাছাঁটা গেছে এনওয়াই রাতপেঁচাদের
১ জুলাই ২০১০আগে হিসেবটা ছিল সপ্তাহে ২.৩ শতাংশ৷ মানে, প্রতি সপ্তাহে বাইরে যাওয়া, একটু পান ভোজন, কিছুটা আমোদপ্রমোদের৷ ২০০৮ সালে আর্থিক মন্দার ঝড় ওঠার পর থেকে মানুষের হাতে পয়সাকড়ি কমেছে৷ ফলে সর্বাগ্রে চাপ পড়েছে প্রমোদের খরচে৷ তাই বাইরে যাওয়া বন্ধ, বাইরে খাওয়া বন্ধ, বাইরে পান করা তো আরও বন্ধ৷ ফলে আগের হিসেব এখন নেমে হয়েছে সপ্তাহে ১.৮৷ একেবারে ভালোমত কাটছাঁট৷
তাছাড়া বাইরে খাওয়াদাওয়া বা পান করার খরচও অনেকখানি বেড়ে গেছে আগের থেকে৷ সেটা আবার বেড়েছে প্রায় লম্ফ দিয়ে৷ বলছেন নিউ ইয়র্কবাসীদের অনেকেই৷ এরাই তারা, যাদের একদা নামই ছিল রাতপেঁচা৷ কারণ, আগে এদের অনেকেরই সকাল হত সন্ধ্যাবেলায় আর রাত নামত সকালবেলায়৷ সেইসব রাতপেঁচাদের একাংশ এখন মানে মানে বাড়ি ফিরে যান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব৷ পকেটে রেস্তঁ না থাকলে আর....
কিছুটা সমস্যাক্রান্ত দোকান রেস্তোঁরার মালিকরাও৷ ডাউনটাউনে বেশ ব্যবসা তোলপাড়, জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ৷ বিশেষ করে যাঁরা ছোটখাটো দোকানপাট চালান, বা মাঝারি মাপের পাব বা বারের মালিক৷ আগে যাঁরা সারারাত দোকান খুলে রাখতেন, তাদের অনেকে মাঝরাতের মধ্যে ঝাঁপ ফেলে দিচ্ছেন৷ কারণ, ওই রাতপেঁচারা তখন তো যে যার বাড়িতে এবং হয়তো বা বিছানায় ঘুমন্ত৷ মন্দা তাদের ডানা ছেঁটে দিয়েছে, রাতে তাই ওড়াউড়ি বিলকুল বন্ধ৷
সমাজের একদল লোক কিন্তু এতে খুশি৷ তাঁরা হলেন স্বাস্থ্যবাদী৷ তাঁদের মতে, এরফলে কিছু মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব পড়াটা অন্তত বন্ধ হল৷
যাক, মন্দার একটা সুফল অন্তত দেখা গেল তাহলে৷ নিউ ইয়র্কের রাতপেঁচারা এবার দিনের বেলায় বেশ নাদুসনুদুস, গোলগাল আর স্বাস্থ্যবান চেহারা করে ঘুরে বেড়াবে৷
সেটাই বা কম কী?
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার