মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় খুন, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
৯ অক্টোবর ২০২৪হুগলি জেলার আরামবাগে পোস্ট অফিসের কাছে মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বা এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত যুবকের নাম দেবাশিস আশ। তিনি আরামবাগের শ্রীনিকেতন পল্লির বাসিন্দা ছিলেন। যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার নাম হেমন্ত পাল। তিনি একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক। তাকেই পুলিশ ঘটনার পর গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সায়ন চক্রবর্তী ও অচিন্ত্য বলে দুই সঙ্গীর সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন হেমন্ত। দেবাশিস তার ভাগ্নে সায়নকে ডেকে আনতে গেছিলেন। সেসময় তিনি হেমন্তের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারপর মদ্যপ অবস্থায় হেমন্ত ও অচিন্ত্য তাকে বাঁশ ও রড দিয়ে মারে বলে সায়ন জানিয়েছে।
সায়ন বলেছে, তাকে নিয়ে হেমন্তরা খারাপ কথা বলায় দেবাশিস রেগে যান। তারপর তর্কাতর্কি হয়। হেমন্তরা প্রথমে ইট মারে। সেই ইট সায়নের হাতে লাগে। তারপর দেবাশিসকে বেধড়ক মারা হয়।
দেবাশিসকে পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দেবাশিসের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিয়োগ জানানোর পর হেমন্তকে প্রথমে আটক করা হয়। বুধবার সকালে জানানো হয়েছে যে, হেমন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অচিন্ত্য পালিয়েছে।
মৃতের আত্মীয় সুবীর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেবাশিস পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। খুব ভালো ছেলে ছিলেন। সুবীরের প্রশ্ন, সে এমন কী করলো, যার জন্য তাকে মেরে ফেলা হলো?
হেমন্ত পালের মা জানিয়েছেন, পুলিশ কেন তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না।
আরামবাগ জেলা তৃণমূল সভাপতি রমেন্দু সিংহ রায় বলেছেন, ''যিনি মারা গেছেন, তিনিও তৃণমূলের সমর্থক। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে।''
আরামবাগে বিজৈপি-র জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেছেন, ''তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা গোটা রাজ্যজুড়েই এই কাজ করছে। এরাই তৃণমূলের সম্পদ।''
জিএইচ/এসজি ইটিভি ভারত, এই সময়)