1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দ কমানোর উদ্যোগ

ক্যার্স্টিন শ্রাইবার/এসবি২৬ এপ্রিল ২০১৪

শব্দ দূষণ যে কী, ঢাকা-কলকাতার মতো শহরের মানুষকে তা নতুন করে বলে দিতে হবে না৷ কিন্তু শব্দের দৈত্যকে কাবু করে মানুষের কানকে কিছুটা রেহাই দেওয়া তেমন কঠিন কাজ নয়৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1BoGr
ছবি: picture alliance / dpa

ইলেকট্রিক সাফাইয়ের গাড়ি রাতে চলে, তবে আগেই প্র্যাকটিস শুরু করেছে৷ তবে বিকট শব্দ করে৷ দুই অ্যাকুস্টিক গবেষক সেটা বদলাতে চান৷ ড্রেসডেন শহরের আবর্জনা সাফাই বিভাগের সঙ্গে তাঁরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে চান৷ সাফাই বিভাগের প্রতিনিধি ক্যার্স্টিন ট্রাউডেভিশ বলেন, ‘‘ইলেকট্রিক ক্লিনার এমনিতে রাস্তায় বেশি শব্দ করে না৷ কিন্তু সমস্যা হলো, সেই শব্দও বাকিদের ছাপিয়ে যায়৷ আমাদের আশা, অ্যাকুস্টিক গবেষকরা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শব্দের উৎস আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করবেন৷''

পরীক্ষার জন্য গবেষকরা চালকের সিটে এক ধরনের গতি মাপার সেন্সর লাগিয়েছেন৷ এই অ্যাকসিরেলোমিটার সিটের মধ্যে সব রকম ভাইব্রেশন বা কম্পন পরিমাপ করে৷ তারপর ল্যাবে তা বিশ্লেষণ করে কম্পনের চরিত্র বোঝা যায়৷ ভাইব্রেশন যত তীব্র হয়, বিকট শব্দের মাত্রাও তত বাড়ে৷ সেটাই কমানোর চেষ্টা চলছে৷ চালক গাড়ি চালানোর সময় অ্যাকসিরেলোমিটার ভাইব্রেশন রেকর্ড করে৷ ল্যাবে তা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, কোন প্রক্রিয়ার সময় সবচেয়ে বেশি শব্দ হয়৷

এক স্বেচ্ছাসেবীকে সেই রেকর্ডিং শোনানো হয়৷ সে বলে দেয়, কোন শব্দ তার সবচেয়ে বেশি কানে লাগছে৷ শুধু ডেসিবেল নয়, শব্দ সম্পর্কে মানুষের অনুভূতির বিষয়টিই হলো আসল কথা৷ এই সব পরীক্ষার ফলে জানা যায়, কোথায়, কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে৷ পরীক্ষার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যে ব্রাশ চলার সময় তীব্র শব্দ হয়৷ বাতাসের বেগের কারণে কম্পনের শব্দ তো রয়েছেই৷ আর আবর্জনার আধার লাউডস্পিকারের মতো কাজ করে, ফলে সব শব্দ মিলে আরও বিকট শব্দের সৃষ্টি করে৷ তবে সবচেয়ে বড় উৎস হলো বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ৷ এই সব বিরক্তিকর শব্দ বন্ধ করতে হলে এবং কম্পন কমাতে গবেষকদের ফ্যানের আশেপাশে বিশেষ ধরনের ইনসুলেশন মেটিরিয়াল লাগাতে হবে৷

এরকান আলটিনসয় ও ইয়ুর্গেন লান্ডগ্রাফ – দুই গবেষকই পরীক্ষা নিয়ে সন্তুষ্ট৷ কী ভাবে শব্দ কমানো যায়, তা বোঝা গেছে৷ তাঁদের আশা, যদি ফ্যানের শব্দের কিছুটা কমানো যায়, চাপ নির্ধারিত কমিয়ে আনা যায়, তাহলে কাজ হবে৷ এই সব কম শব্দের গাড়ি নিয়ে ড্রেসডেন শহরে ভবিষ্যতে রাতেও সাফাই চালানো সম্ভব হবে৷ ফলে বিশাল সুবিধা হবে৷

কিন্তু ঘর পরিষ্কার করার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দও কি কমানো সম্ভব? এমনই একটি সাধারণ ক্লিনার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ এক গৃহিণী বললেন, এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বড্ড বেশি শব্দ করে৷ জঘন্য, বিরক্তিকর, একটানা শিষের শব্দ মেজাজ খারাপ করে দেয়৷

এরকান আলটিনসয় ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দ কমাতে চান৷ সাউন্ড-প্রুফ একটি ঘরে তিনি এক সহকর্মীকে নিয়ে প্রথমটির সঙ্গে একটি অপটিমাইজড মডেলের শব্দের তুলনা করছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি এবার দুটি ক্লিনারই চালু করবো৷ প্রথমে একটার শব্দ শুনবো, তারপর অন্যটার৷ কোনটা বেশি বিরক্তিকর তা সহজেই বলা যায়৷ কে শুনছে, তাতে কিছুই এসে যায় না৷ সবার কাছেই একটা বিরক্তিকর, অন্যটা অনেক অনেক শান্ত৷'' অপটিমাইজড মডেলের তুলনায় অন্যটি অনেক বেশি শব্দ করে৷ এই পর্যায়ের আওয়াজের মুখে মানুষের কান অত্যন্ত সংবেদনশীল৷ মাত্রায় বেশ তফাত রয়েছে৷ দুটির মাত্রা এক করে দিলে দেখা যাক কী হয়৷

কোনো ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দ কী ভাবে বদলানো যায়, খেলনার এক ঘড়ি দিয়ে পরীক্ষা করলেই তা বোঝা যাবে৷ যেখানে মোটর থাকে, সেখানে ঘড়িটি চালালে মনে হয় যেন লাউডস্পিকার চলছে৷ শব্দের তীব্রতা কমাতে ইনসুলেশন নিয়ে কাজ চলছে৷ চেম্বারে পশম জাতীয় উপাদান বসিয়ে তার উপর ঢাকনা দিলে বাইরে প্রায় কোনো শব্দ শোনা যায় না৷

এই নীতি প্রয়োগ করেই এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দ কমানো হচ্ছে৷ বিভিন্ন জায়গায় পশম জাতীয় উপাদানের স্তর বসিয়ে সত্যি ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে৷ শব্দের মাত্রা অপটিমাইজড মডেলটির মতোই কমে গেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য