1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোলা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের দুই বড় দলের প্রেস্টিজ ইস্যু

২২ এপ্রিল ২০১০

আর একদিন পর ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচন৷ উপনির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাকযুদ্ধ চলছে৷ দু‘দলই এই নির্বাচনকে প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে৷ নির্বাচন কমিশন বলেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন৷

https://p.dw.com/p/N3P1
ফাইল ফটোছবি: Mustafiz Mamun

ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ পিছানোর দাবি থেকে সরে এসেছে বিএনপি৷ বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই তারা ২৪শে এপ্রিল মানে শনিবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন৷ কিন্তু তার দাবি, নির্বাচন হবে নীল-নকশার উপনির্বাচন৷ এর ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে৷

জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ বলেছেন, উপনির্বাচনে বিএনপি তাদের নিশ্চত পরাজয় জেনেই নানা অজুহাত তুলছে৷ তারা গোড়া থেকেই এ নির্বাচনকে সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে৷

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন বলেছেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য কমিশন সব ব্যবস্থা নিয়েছে৷ আর নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের আগে প্রতিরোধমূলক গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছাড়া সরকারের কোন সংস্থা সন্ত্রাসীদের কথিত তালিকা তৈরি করতে পারবে না৷

ভোলা-৩ আসনটি লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা নিয়ে গঠিত৷ এর ভোটার আড়াই লাখ৷ গত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীলীগের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জসিম উদ্দিনের সদস্যপদ আদালত খারিজ করে দেয়ায় এই উপনির্বাচন হচ্ছে৷ উপনির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং বিএনপি প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দন আহমেদ৷ নিয়ম অনুযায়ি বৃহষ্পতিবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ ও প্রচারনা বন্ধ ৷ এবার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়নি৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক