1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা!

১২ আগস্ট ২০১৭

ভেনেজুয়েলায় চলমান রাজনৈতিক সংকটে বিস্ময়করভাবে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে৷ দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছেন ট্রাম্প৷ তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস থেকে সেনা প্রস্তুতের কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি৷

https://p.dw.com/p/2i6pX
Polen US-Truppen treffen in Zagan ein
ছবি: Reuters/K. Pempel

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক ইন্সটিটিউটের উপর ভেনেজুয়েলা সরকারের দমনপীড়ন বন্ধে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বিবেচনা করছেন তিনি৷ নিউ জার্সিতে নিজের গল্ফ কোর্সে ছুটির কাটানোর সময় একথা বলেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বে, এমনকি অনেক দূরের দেশেও আমাদের সেনা রয়েছে৷ ভেনেজেয়ুলা অনেক দূরের কোনো জায়গা নয় এবং সেখানে মানুষ ভুগছে ও মারা যাচ্ছে৷''

‘‘ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সামরিক ব্যবস্থা নেয়াসহ আরো অনেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে আমাদের", যোগ করেন ট্রাম্প৷ 

প্রসঙ্গত, এর আগে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ‘একনায়ক' আখ্যা দিয়ে তাঁর সামলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তবে শুক্রবার ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছেন যে, দেশটির বিরুদ্ধে এখনই সামরিক উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন না তিনি, শুধুমাত্র সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন৷

পেন্টাগন অবশ্য জানাচ্ছে যে, ভেনেজুয়েলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা হোয়াইট হাউস থেকে তাদের কাছে পৌঁছায়নি৷ ওদিকে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পেডরিনো ট্রাম্পের বক্তব্যকে 'একধরনের পাগলামি' আখ্যা দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘একজন উগ্রপন্থি অভিজাত ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করছেন৷ সত্যিকার অর্থে বলতে গেছে আমি জানি না কী হচ্ছে, বিশ্বের কী হতে যাচ্ছে৷''

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মাদুরো তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছেন৷ তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদুরো ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার পরই তিনি তাঁর ফোন কল গ্রহণ করবেন, না বলে নয়৷

উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলায় গত চার মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে ইতোমধ্যে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী৷ প্রেসিডেন্ট মাদুরো এই প্রতিবাদের পরেও ক্ষমতা ছাড়েননি৷ বরং তাঁর দাবি, আন্দোলনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বেধে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে৷ অন্যদিকে ক্রমাগত আন্দোলন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে এখন চলছে চরম খাদ্য ও ওষুধ সংকট৷

এআই/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)