ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি
সোমবার বিকেল থেকে কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কেবল পায়ে হেঁটে পার করা যাচ্ছে বর্ডার।
বন্ধ ট্রেন
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে ভারতীয় সেনা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
বন্ধ বিমান
সোমবার সকালে শেষ বিমান চলাচল করেছে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। দুপুরের পর একে একে সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
স্থগিত বাণিজ্য
বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত, উত্তরবঙ্গের হিলি সীমান্ত-সহ প্রায় সমস্ত সিমান্তেই বন্ধ রয়েছে বাণিজ্য। ট্রাকগুলিকে বন্দরেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। হিলি সীমান্তে ৮৯টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ট্রাক ফিরছে
সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতীয় ট্রাকগুলিকে সীমান্ত পার করে ভারতের দিকে ঢোকানো হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই একাজ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার
সীমান্তের দুই পারেই বহু মানুষ অপেক্ষা করছেন। পায়ে হেঁটে তারা সীমান্ত পার করতে পারছেন। বাস যাতায়াত করছে না।
সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা
ভারতীয় নাগরিকেরা সীমান্ত পার করতে চাইলে বিএসএফ-এর তরফে বর্ডার পার হতে নিষেধ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে না ঢুকতে।
ফিরতে সমস্যা
বহু বাংলাদেশি ভারতে এসে আটকে পড়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে অনেকেই চিকিৎসার জন্য় আসেন। বিমান, রেল, বাস বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তারা। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষের পথে।
ফিরছেন ভারতীয়রা
পেট্রাপোল, হিলি, আসামের করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বহু ভারতীয় দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে। পায়ে হেঁটে তারা সীমান্ত পার করছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এদিন সর্বদল বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ১২ থেকে ১৩ হাজার ভারতীয় আছেন। এখনই তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
কারফিউ উঠলে বাণিজ্য
কারফিউ ওঠার পর ফের বাণিজ্য শুরু হবে বলে আশা করছেন ব্য়বসায়ীরা। তবে আপাতত কোনো ট্রাক সীমান্তের অন্য়পারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
পেট্রাপোলে বাসের লাইন
পেট্রাপোল সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য বাস। কোনো বাস সীমান্ত পার করতে পারছে না।