ভারতের ৬৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিদেশি কূটনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা৷ গোটা দিল্লি মোড়া হয় নিরাপত্তার জালে৷
বাহিনী ত্রয়ের অভিবাদন গ্রহণের পর, আজ সকালে ভারতের ৬৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির লাল কেল্লার প্রাকার থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷
জাতির উদ্দেশ্যে প্রথাগত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, লোকপাল বিল পাশ করানো, সরকারের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনার উল্লেখ করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেন নক্সালবাদ সমস্যা নিয়ে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য না হওয়ায় দেশের আর্থিক বিকাশ থমকে আছে৷ পরিকাঠামো নির্মাণে বেসরকারি বিনিয়োগ টানতে সরকার কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে চলেছে৷ তিনি বলেন, ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় স্তরে আস্থা তৈরি করতে হবে৷
নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, নিরাপত্তার দিকে কড়া নজর রাখা হবে৷ যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সদ্ভাব বজায় রাখতে হবে৷ আসামের মতো জাতিদাঙ্গা কোনো মতেই হতে দেয়া যাবেনা৷ এছাড়া নক্সালবাদ এখনও এক গুরুতর সমস্যা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷
স্বাধীনতা দিবসে গোটা দেশে, বিশেষ করে দিল্লিকে মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার বলয়ে৷ তীক্ষ্ণ নজরদারি সর্বত্র৷ হোটেল, গেস্টহাউস, সাইবার কাফে, টেলিফোন বুথ, রেল ও বাস টার্মিনাসে৷ বিশেষ সতর্কতা ভারত-পাক সীমান্তে৷ মোতায়েন করাহয় পুলিশ ছাড়াও এনএসজি, কুইক রিঅ্যাকশন টিম এবং আধা সামরিক বাহিনী৷
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হলেও, মনিপুর রাজ্যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে গুরুতরভাবে আহত হয় পাঁচ জন৷ স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরও আমজনতা কাছে স্বাধীনতা দিবস রয়ে গেল এক অখণ্ড ছুটির দিন হিসেবে৷ আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও বিশেষ কোনো নতুনত্ব নেই৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ