অগ্নিপথ স্কিম অনুযায়ী প্রতিবছর ১৭ বছর ছয় মাস থেকে ২১ বছর বয়সিদের সেনায় ভর্তি করা হবে। তাদের নাম দেয়া হয়েছে অগ্নিবীর। তাদের চাকরির মেয়াদ হবে চার বছর। চার বছর পর ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে ভারতীয় সেনায় স্থায়ী চাকরি দেয়া হবে। বাকিদের সার্টিফিকেট দেয়া হবে। সরকারের দাবি, তাদের এরপর চাকরি পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, অগ্নিপথ প্রকল্প চালু হওয়ার পর ভারতীয় সেনার চেহারা বদলে যাবে। তা আরো নবীন হবে।
রাজনাথ বলেছেন, প্রথম বছরে অগ্নিবীররা বছরে প্রায় চার লাখ ৭৬ হাজার টাকা পাবেন। চতুর্থ বছরে পাবেন ছয় লাখ ৯২ হাজার টাকা। চার বছর পর মেয়াদশেষে তারা ১১ লাখ ৭১ হাজার টাকার সেবা নিধি প্যাকেজ পাবেন। তাদের বেতনের তিরিশ শতাংশ অর্থ সেবা নিধিতে রাখতে হবে। এছাড়া ৪৮ লাখ টাকার বিমার সুবিধাও তারা পাবেন।
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
পিডাব্লিউআর ব়্যাঙ্কিং
সামরিক শক্তির এই ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছে চীন৷ যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ তিন নাম্বারে আছে চীন আর ভারত আছে চার নাম্বারে৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
সক্রিয় সেনাসদস্য
১৩৮ টি দেশের মধ্যে পিআরডাব্লিউ ইনডেক্সে তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের মোট ২১ লক্ষ ২৩ হাজার সেনাসদস্য রয়েছে, ভারতের রয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৪ হাজার সেনাসদস্য৷ তবে রিজার্ভ সৈন্যর সংখ্যায় ভারত এগিয়ে৷ চীনের পাঁচ লাখ ১০ হাজারের বিপরীতে তাদের রয়েছে ২১ লাখ রিজার্ভ সৈন্য৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
প্রতিরক্ষা বাজেট
প্রতিরক্ষা খাতে চীনের বাজেট ২৩৭০ কোটি ডলারের এবং ভারতের ৬১০ কোটি ডলারের৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
এয়ারক্রাফট
এখানেও চীন এগিয়ে৷ চীনের ৩২১০টির বিপরীতে ভারতের রয়েছে ২১২৩টি এয়ারক্রাফট৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
যুদ্ধজাহাজ
চীনের ৭৭৭টি আর ভারতের রয়েছে ২৮৫টি যুদ্ধজাহাজ৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
যুদ্ধবিমান
চীনের যুদ্ধবিমান ভারতের দ্বিগুণেরও বেশি৷ চীনের ১২৩২টি আর ভারতের ৫৩৮টি৷ (প্রতীকী ছবি)
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
হেলিকপ্টার
চীনের আছে ৯১১টি হেলিকপ্টার আর ভারতের ৭২২টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
ট্যাঙ্ক
ভারতের ট্যাঙ্ক চীনের চেয়ে অনেক বেশি৷ চীনের আছে ৩৫০০টি ট্যাঙ্ক আর ভারতের ৪২৯২টি৷ ওপরে চীন, রাশিয়া ও ইরানের যৌথ মহড়ার ছবি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
সাঁজোয়া যান
চীনের সাঁজোয়া যানবাহনের সংখ্যা ৩৩ হাজার, ভারতের আট হাজার ৬৮৬৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি
এখানে দু দেশের তুলনাই হয় না৷ চীনের আছে ৩৮০০, ভারতের মাত্র ২৩৫৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
ফিল্ড আর্টিলারি
এখানে ভারত কিছুটা এগিয়ে৷ চীনের ৩৮০০-র বিপরীতে তাদের রয়েছে ৪০৬০টি ফিল্ড আর্টিলারি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
রকেট প্রজেক্টর
চীনের ২৬৫০, ভারতের ২৬৬৷ সুতরাং এখানে চীন প্রায় দশগুণ এগিয়ে৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
সাবমেরিন
সাবমেরিনের সংখ্যার দিক থেকেও ভারত অনেক পিছিয়ে৷ চীনের ৭৪টির বিপরীতে ভারতের আছে ১৬টি সাবমেরিন৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
বিমানবাহী জাহাজ
চীনের ২টি, ভারতের ১টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
ডেস্ট্রয়ার
চীনের ৩৬টি, অন্যদিকে ভারতের ১০টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
ফ্রিগেট
চীনের ৫২, ভারতের তার ঠিক চার ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ ১৩টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
রণতরি
রণতরি চীনের ৫০টি, ভারতের ১৯টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
উপকূলীয় টহল
চীনের ২২০, ভারতের ১৩৯৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
বিমানবন্দর
চীনের আছে মোট ৫০৭টি বিমানবন্দর আর ভারতের ৩৪৭টি৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
নৌবন্দর এবং টার্মিনাল
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন প্রায় সব জায়গার মতো এখানেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশের চেয়ে এগিয়ে৷ চীনের২২টির বিপরীতে তাদের রয়েছে মোট ১৩টি বন্দর ও টার্মিনাল৷
-
চীন-ভারত: সামরিক শক্তিতে কে কত এগিয়ে
ভারতের বহরে রাফাল
২০১৬ সালে ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তিতে সই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট ৩৬টি বিমান ফ্রান্সের থেকে কেনার চুক্তি হয়েছিল। এরমধ্যে বুধবার ভারতে পৌঁছেছে নতুন পাঁচটি যুদ্ধ বিমান। সেগুলোকে লাদাখে পাঠানোর কথা রয়েছে৷ চীন-ভারত সংঘাতের কারণে আপাতত সেখানেই রাখা হবে বিমানগুলিকে। এরপর আসবে হ্যামার মিসাইলও।
এই বছর ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। রাজনাথ বলেছেন, ভারতের যুবকরা অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সেনাবাহিনীতে সেবা করার সুযোগ পাবেন। ভারতীয় সেনাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মত
লেফটন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেছেন, ''অগ্নিবীররা হবে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি সেনা। তার মতে, অগ্নিবীররা হবেন ভারতের তরুণ রক্ষাকর্তা। চার বছর পর অগ্নিবীররা যখন বাইরে আসবেন, তখন তাদের মনোভাব বদলে যাবে, দক্ষতা বাড়বে, আমাদের সঙ্গে কাজ করার সুফল তারা পাবে।''
সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের মতে, ''অগ্নিপথ প্রকল্পের ফলে সেনার আমূল পরিবর্তন হবে। এখানে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্য মিশবে।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছে, এর ফলে সরকারের উপর থেকে প্রতিবছর সেনার বাড়তি বেতন ও পেনশনের চাপ কমবে। বহু বছর ধরে সরকার এই চাপ নিয়ে চিন্তিত ছিল। এছাড়া সাবেক সেনা কর্তাদের একাংশ এই নতুন কাঠামো নিয়ে সন্দিহান। তাদের মতে, তাদের রেজিমেন্ট ও ব্যাটেলিয়ানের প্রতি সেনার দায়বদ্ধতা থাকে, গর্ব থাকে। এই দায়বদ্ধতা ও গর্ব তাদের চালিকাশক্তি হয়। তার ফলে তারা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারেন। অগ্নিবীরদের ক্ষেত্রে সেই দায়বদ্ধতা ও গর্ব থাকবে কি?
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)