1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপের ‘দুঃস্বপ্ন' কাটছে না

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার বিকল্প পেশ করার ক্ষেত্রে কোনোরকম চাপ মেনে নিতে রাজি নয় বরিস জনসনের সরকার৷ শুক্রবার আবার দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3PvED
ব্রিটেনের ব্রেক্সিট মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে ও ইইউ প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে
ছবি: Reuters/F. Walschaerts

লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী সোমবার ব্রেক্সিটকে ঘিরে বর্তমান অচলাবস্থাকে ‘দুঃস্বপ্ন' হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ সেই মূল্যায়ন কতটা যথার্থ, সপ্তাহান্তের মুখে তা আবার টের পাওয়া গেল৷ চারিদিক থেকে প্রবল চাপ সত্ত্বেও ব্রিটিশ সরকার এখনো আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব পেশ করতে নারাজ৷ এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্টি রিনে চলতি মাসের শেষের মধ্যে এই মর্মে লিখিত প্রস্তাব পেশ করার সময়সীমা স্থির করে দেওয়া সত্ত্বেও বরিস জনসনের সরকার সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ জনসন একাই অগ্রগতির দাবি করে আসছেন৷ অন্যদিকে ইইউ-র সব নেতাই একবাক্যে জানিয়ে দিচ্ছেন, জটিলতা কাটাতে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয় নি৷

আগামী ১৭ ও ১৮ই অক্টোবর ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা৷ উপস্থিত নেতাদের চুক্তিসহ ব্রেক্সিট, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অথবা ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর মধ্যে কোনো একটি পথ বেছে নিতে হবে৷ কিন্তু ইইউ কর্মকর্তারা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে তার আগে ব্রিটেন কোনো সমাধানসূত্র পেশ না করতে পারলে সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে না৷ সে ক্ষেত্রে ইইউ শীর্ষ নেতারা শেষ মুহূর্তে সেই প্রস্তাব বিবেচনা করতে পারবেন না৷ অথচ ব্রিটেন সেই চাপ উপেক্ষা করে সময়সীমার গুরুত্ব স্বীকার করতে চাইছে না৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, প্রস্তাব প্রস্তুত হলে তবেই তা পেশ করবে লন্ডন, এ ক্ষেত্রে কোনো কৃত্রিম সময়সীমা মানা হবে না৷ ব্রাসেলস যখন আরও গঠনমূলক সুরে কথা বলবে, তখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ মোটকথা নিজস্ব দায়িত্ব পালন করার বদলে ব্রিটিশ সরকার ইইউ-র উদ্দেশ্যে ‘সৃজনশীলতা' ও ‘নমনীয়তা' দেখানোর ডাক দিচ্ছে৷ ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলেও স্পেনে একই মন্তব্য করেন৷

ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার ব্রিটেনের স্কাই টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবার খোলসা করে বলেন, আইরিশ সীমান্তে জটিলতা কাটাতে সব লক্ষ্য পূরণ হলে ব্যাকস্টপের আর কোনো প্রয়োজনই থাকবে না৷ ইয়ুংকার বলেন, এখনো দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন৷

ব্রিটেন বুধবার রাতে ইইউ কমিশনের কাছে কিছু গোপন কাগজপত্র জমা দিয়েছে বটে, কিন্তু তার মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নেই৷ পণ্য চলাচল, শুল্ক ইত্যাদি কিছু বিষয়ে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে সেগুলি প্রস্তুত করা হয়েছে৷ ইইউ কমিশনের মুখপাত্র বেশি গুরুত্ব না দিলেও সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন৷ শুক্রবার ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে ও ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে-র মধ্যে আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এদিকে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট সংসদ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী সপ্তাহে রায় দেবে বলে জানিয়েছে৷ রায় সরকারের বিরুদ্ধে গেলে তড়িঘড়ি করে সংসদের অধিবেশন ডাকতে হবে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)