1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনের নির্বাচনে দ্বিদলীয় আধিপত্য খর্ব হওয়ার ইঙ্গিত

২৩ এপ্রিল ২০১০

ব্রিটেনের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই একচ্ছত্র দ্বিদলীয় আধিপত্য খর্ব হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠছে৷ বৃহস্পতিবার নির্বাচনে প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিতীয় দফা টিভি বিতর্ক শেষ হওয়ার পর জনমত সেরকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/N3zP

ক্লেগের প্রতি সমর্থন বাড়ছে

আগামী ৬ মে ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন৷ এতদিন ধরে দেশটির নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি এবং লেবার পার্টির একচ্ছত্র লড়াই দেখে এসেছে জনগণ৷ এবার প্রথমবারের মত নির্বাচনী টিভি বিতর্ক শুরু হওয়ার পর সেই অবস্থাতে পরিবর্তন আসার একটি ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে৷ এর মূল কারণ টিভি বিতর্কে তৃতীয় প্রধান দল লিবারেল ডেমোক্রেট এর নেতা নিক ক্লেগের উপস্থিতি৷ গত সপ্তাহে প্রথম দফা বিতর্কের পর জনমত জরিপে দেখা গিয়েছিল যে বেশিরভাগ ভোটারই মনে করছেন লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা নিক ক্লেগই বিজয়ী হয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা বিতর্কে সেরকম কিছু দেখা না গেলেও দেখা যাচ্ছে বাকি দুই প্রধান দলের সঙ্গে বেশ জোর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি৷ সান পত্রিকার এক জরিপে দেখা গেছে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ক্যামেরণের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন ৩৬ শতাংশ লোক, নিক ক্লেগের প্রতি ৩২ শতাংশ এবং প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের প্রতি ২৯ শতাংশ লোক তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন৷ অন্য একটি টিভি জরিপে দেখা গেছে ক্লেগ পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ সমর্থন আর বাকি দুই নেতা পেয়েছেন ৩০ শতাংশ করে সমর্থন৷

ঝুলন্ত সংসদের সম্ভাবনা

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগেও ব্রিটেনের নির্বাচনে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিক ক্লেগের উপস্থিতি তেমন জোরালো ছিল না৷ কিন্তু দুটি টিভি বিতর্কের পর গত কয়েকদিনের জনমতে ক্রমেই নিজের অবস্থান সংহত করে নিয়েছেন নিক ক্লেগ৷ যদিও এই বিতর্কের ফলাফলের ওপর নির্বাচনে কোন দলের বিজয় নির্ভর করছে না তবুও মনে করা হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনে প্রধান দুই দলের একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব হতে পারে৷ বিশেষ করে কয়েক মাস আগেও ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি৷ কিন্তু মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত লিবারেল ডেমোক্রেটরা ভাগ বসাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির ভোট ব্যাংকে৷ এর ফলে আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন নিক ক্লেগ, এমন হিসাবও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে৷

স্বভাবসুলভ আক্রমণ

এদিকে বৃহস্পতিবার টিভি বিতর্কে ব্রাউন এবং ক্যামেরন দুজনই আক্রমণ করেন ক্লেগকে৷ যদিও ক্লেগের দাবি এই দুই দলকে বাদ দিয়ে তাঁর দলই আসল পরিবর্তন আনতে সক্ষম৷ বিশেষ করে দুই দলের সংসদ সদস্যদের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি তিনি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন৷ অন্যদিকে ব্রাউন, ক্যামেরনকে ইউরোপ বিরোধী এবং ক্লেগকে আমেরিকা বিরোধী বলে তুলে ধরেন৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার