1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশইন্দোনেশিয়া

ব্রাজিলের পথে এগোতে চাইছে ইন্দোনেশিয়া

১৬ অক্টোবর ২০২৪

পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উপযোগিতা সম্পর্কে সংশয় না থাকলেও সেই উৎস এখনো যাবতীয় চাহিদা মেটানোর উপযুক্ত হতে পারেনি৷ ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাই বায়োইথানলের মাত্রা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/4lsHt
বায়োইথানল
ইন্দোনেশিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের পেট্রোলের মধ্যে দশ শতাংশ বায়োইথানল রাখতে চায়ছবি: DW

আগামী তিন মাস মুলজোনোর জন্য কঠিন হতে চলেছে৷ ফসল কাটার কর্মী হিসেবে তিনি পূর্ব জাভার ক্ষেতে দিনে ১২ ঘণ্টা ধরে আখ কাটেন৷ সেই কাঁচামাল ইন্দোনেশিয়াকে দ্বিতীয় ব্রাজিল করে তোলার মিশন সফল করতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে৷ ব্রাজিল জ্বালানির উৎস হিসেবে বায়ো-ইথানলের উপর অনেকটাই নির্ভর করে৷ মুলজোনোর জন্য সেটা সুখবর৷ তিনি বলেন, ‘‘প্লান্টেশনের আরো সম্প্রসারণ হলে আমি খুশিই হবো৷ তখন আর আমাকে পেটের দায়ে অন্য কাজের খোঁজ করতে হবেনা৷ আশা করি এই চিনির কারখানা ঠিকমতো চলবে৷ কারণ তার উপর পরিবারের জন্য আমার উপার্জন নির্ভর করবে৷''

এই কারখানায় আখ প্রক্রিয়াজাত করা হয়৷ প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ট্রাক সেখানে আসে৷ চিনি ও গুড়ই চূড়ান্ত পণ্য, যা পরে বায়োইথানলে রূপান্তর করা হয়৷ কিন্তু সেটা করতে হলে আরো অনেক আখের প্রয়োজন হবে৷ কিন্তু সমস্যা হলো, চাষিরা সেই শস্য চাষ করতে তেমন আগ্রহী নন৷ নুসান্তারা সুগার সিনার্জি কোম্পানির প্রতিনিধি এডি পুর্নোমো বলেন, ‘‘অনেক আখের ফার্মের জমিতে আবাসন গড়ে তোলা হয়েছে৷ অনেক চাষিই আরো লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন৷ তারা যাতে চিনির ব্যবসায় থেকে যান, সেই লক্ষ্যে আমরা সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি৷ ঠিক সময় তাঁরা যেন সার, ভালো বীজ এবং আর্থিক সহায়তা পান৷''

ইন্দোনেশিয়ায় বায়োইথানল

পরিবর্তন আনতে কী করা উচিত, সে বিষয়ে এই কারখানার মালিকদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে৷ একমাত্র সেখানেই ইন্দোনেশিয়ার গ্রিন গ্যাসোলিন উৎপাদন করা হয়৷ সেই কারখানায় পাঁচ গুণ বেশি বায়োইথানল উৎপাদন করা সম্ভব৷ কিন্তু তাদের একমাত্র গ্রাহক হলো রাষ্ট্রীয় মালিকানার পের্তামিনা কোম্পানি৷ তাদের সেই পণ্যের চাহিদা কম৷

এখনো পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার পেট্রোল পাম্পে তেলের মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ বায়োইথানলের মিশ্রণ পাওয়া যায়৷ এনরো কোম্পানির কর্মকর্তা তুনজুং আরি বিকাসোনো বলেন, ‘‘গোটা বায়োইথানল প্রকল্পের নিয়ন্ত্রক কাঠামো এখনো প্রস্তুত হয়নি৷ জ্বালানি উৎপাদন কোম্পানির চাহিদা অত্যন্ত কম, কারণ বায়োইথানলযুক্ত পণ্য বিক্রির কোনো বাধ্যবাধকতা তাদের নেই৷ তেমন নিয়ম কার্যকর হলে আমরা পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে সব বায়োইথানল বিক্রি করতে পারি৷''

যথেষ্ট কাঁচামাল থাকলে এমনটা হতে পারতো৷ অদূর ভবিষ্যতে পাপুয়া অঞ্চলেও জাভা দ্বীপের মতো এমন প্লান্টেশন গড়ে তোলা হবে৷ সরকার বড় আকারের উদ্যোগের আওতায় সাত লাখ হেক্টর জমিতে আখের প্লান্টেশন গড়ে তুলতে চায়৷

বর্তমানে দেশের চিনি ও পেট্রোল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়৷ এ ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে পারলে এক ঢিলে দুটি সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷ মুলজানোর মতো কৃষিকর্মীর কর্মসংস্থানও বাড়াতে পারবে সেই উদ্যোগ৷

ফার্দিনান্দ হিমাওয়ান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য