ব্যবসায়ী চক্রের খপ্পরে কক্সবাজার সৈকত
৫ জানুয়ারি ২০১১ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এই সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদনে কক্সবাজার সৈকতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছে৷ পাশাপাশি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার চিত্রও ফুটে উঠেছে এই প্রতিবেদনের মধ্যে৷ জানা গেছে, দীর্ঘতম এই সৈকত দেখতে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক সারা দেশ থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও সেখানে ছুটে যায়৷ প্রতি বছর এই পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে দ্রুত গতিতে৷ এর সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করছে সৈকতের ওপরেই হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে নয়নাভিরাম দৃশ্য একসময় দেখা যেত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে তা এখন অনেকটাই ক্ষুন্ন হয়ে গেছে৷ কক্সবাজার মানেই ছিল একদিকে বিশাল নীল জলরাশি, অন্যদিকে সবুজ পাহাড়৷ আর এখন সৈকতে দাঁড়িয়ে আশেপাশে তাকালে চোখে পড়ে কেবল ইট সুরকির কাঠামো - ‘‘ইটের পরে ইট, মধ্যে মানুষ কীট''৷ আবার পানির অনেক কাছে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অনেক রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য৷ অথচ এর ফলে একদিকে সৈকতের গঠন যেমন এদিক-সেদিক হচ্ছে তেমনি প্রাকৃতিক ভারসাম্যটিও নষ্ট হচ্ছে৷
জানা গেছে, এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে সরকারি ভবনও৷ এছাড়া সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন অনেক ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই৷ কক্সবাজার'এর জেলা প্রশাসক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ জানান, বর্তমান দুরবস্থা সম্পর্কে তাঁরা অবহিত৷ অনেককেই তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে অবৈধ স্থাপনা যদি ভাংতে হয়, তাহলে তার মধ্যে সরকারি ও সামরিক বাহিনীর অনেক ভবনও পড়ে যাবে বলে প্রকাশ৷ এই কারণে খোদ জেলা প্রশাসনই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে৷
অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যতম পরিচালক মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী জানিয়েছেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের৷ তাদেরকেই এই কাজ করতে হবে৷ দুই পক্ষের এই ঠেলাঠেলিতে কোন কাজই হচ্ছে না৷ মাঝখান দিয়ে কক্সবাজার সৈকতের মত প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক