1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বোমা নিষ্ক্রিয় করতেও লেজারের প্রয়োগ

২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে, ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়িয়ে বিপজ্জনক বোমা নিষ্ক্রিয় করতে লেজার রশ্মি কাজে লাগানো হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে এর ব্যাপক প্রয়োগের সম্ভাবনা বাড়ছে৷ লেজার দিয়ে এমনকি কণা বা কোষও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3ippi
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Gernhoefer-Mc

লেজার রশ্মি পাতলা ধাতুর স্তর দ্রুত কাটতে পারে৷ শুধু নিখুঁতভাবে নিক্ষেপ করা নয়, নির্দিষ্ট পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের কারণে লেজার প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়৷ যেমন সূক্ষ্ম মাত্রার এক লেজার দেশলাইকাঠির বারুদে খোদাই করতে পারে৷ অথচ আগুন জ্বলে ওঠে না৷ আগুন দিয়ে পোড়ানো হলেও দেশলাই পুড়ে যায় না৷ এত সূক্ষ্মভাবে পরিমাণ স্থির করা যায় এবং ইস্পাতও কাটতে পারে বলে বোমা নিষ্ক্রিয় করার মতো দুরূহ কাজে লেজার কাজে লাগানো যেতে পারে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে মিত্রশক্তি জার্মানির উপর প্রায় ১৬ লাখ টন বোমা ফেলেছিল৷ সব বোমার বিস্ফোরণ ঘটে নি৷ আজও প্রায় এক লাখ বোমা মাটির নীচে রয়ে গেছে৷ ভবিষ্যতে লেজারের সাহায্যে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ লেজার সেন্টার হানোফারের ইয়োর্গ হ্যার্মসডর্ফ বলেন, ‘‘এই রাসায়নিক ডিটোনেটর কাজে লাগালে যে কোনো সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে৷ লেজার কিন্তু বোমা ছোঁয় পর্যন্ত না৷ আমি গোটা প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে পারি, প্রয়োজন অনুযায়ী রদবদল করতে পারি৷’’

লেজার প্রথমে ধাতুর মোড়কে নির্দিষ্ট জায়গা কেটে দেয়৷ তারপর অতি সাবধানে বিস্ফোরক গরম করে৷ এমন মাত্রা রাখা হয়, যাতে বারুদ বিস্ফোরণের বদলে ধীরে ধীরে পুড়ে যেতে পারে৷ শেষে ডিটোনেটর ছিটকে বেরোলে এবং ধাতুর স্তরে ফাটল ঘটলে সামান্য একটা শব্দ হয়৷ কোনো ক্ষতি না করেই বোমার মোড়কে ফাটল ধরানো গেছে৷ বাস্তব জীবনে এই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ইয়োর্গ হ্যার্মসডর্ফ বলেন, ‘‘বড় শহরের প্রায় সব কোণেই বোমা লুকিয়ে রয়েছে৷ নিরাপদে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করলে অবশ্যই মানুষের প্রাণ রক্ষা করা যায়৷ শুধু নতুন প্রযুক্তি সৃষ্টি করার চেয়েও এর মূল্য আমার কাছে অনেক বেশি৷’’

আরেকটি ক্ষেত্রে লেজার রশ্মির প্রয়োগের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ আলোকে টুইজার বা চিমটা হিসেবে ব্যবহার করে অনেক সুফল পাওয়া যাচ্ছে৷ এর সাহায্যে গোটা বিশ্বে গবেষকরা মাইক্রোস্কোপের নীচে অতি ক্ষুদ্র কোষ স্থির রাখতে অথবা নড়াচড়া করতে পারছেন৷ সবুজ ক্রস লেজারের লক্ষ্যবস্তু স্থির করছে৷ কাছাকাছি কোনো কণা এলেই টেনে নিচ্ছে৷ ইয়োর্গ হ্যার্মসডর্ফ বলেন, ‘‘লেজার আসলে এক বৈদ্যুতিক চৌম্বক ক্ষেত্র৷ ফোকাসের জায়গায় সেটির সবচেয়ে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে৷ এর ফলে লেজার সব কণা বা কোষ আকর্ষণ করে৷ ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাহায্যে সেগুলি স্থির রাখা যায় বা নড়াচড়া করানো যায়৷ এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তুলে নেওয়া যায়৷’’

থ্রিডি প্রিন্টারে গিয়ার তৈরির কাজ শেষ৷ শুধু ধুলা ঝেড়ে ফেললেই সেটি কাজে লাগানো সম্ভব৷ আগামী বছরগুলিতে লেজারের সরঞ্জাম অনেক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে চলেছে৷

বিয়র্ন প্লাৎস/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য