বিড়াল ক্যাফে : তুলতুলের পরশে, কফির উষ্ণতায়
বিশ্বের নানা দেশে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে বিড়াল ক্যাফে। বিড়ালের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে মানুষ বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গবেষণা বলছে, সেসময় তাদের রক্তচাপও বেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
জাপানের বিড়াল ঐতিহ্য
জাপানের ওসাকা শহরের নিনজা কিংডম বিনোদন কেন্দ্রের টেবিলের ওপর বসে আছে একটি বিড়াল। জাপানে বিড়ালের ক্যাফের উৎপত্তি হলেও গত কয়েক বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়েছে এর সংখ্যা। এ ধরনের ক্যাফেতে শুধু কফি পান করা ও কেক খাওয়া নয়, একই সঙ্গে বিড়ালের সঙ্গেও কিছু সময় কাটাতে পারেন ক্রেতারা।
পোল্যান্ডে এক দুষ্টু বিড়াল
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ-র একটি ক্যাফের টেবিল থেকে কিছু চুরি করার চেষ্টা করছে একটি বিড়াল। কিছু মানুষ তাদের প্রতিদিনের জীবনের ঝক্কি-ঝামেলা থেকে সাময়িক রেহাই পেতে এই ক্যাফেতে কফি পান করতে আসেন। গবেষণা বলছে, বিড়ালের গায়ে হাত বুলালে দুশ্চিন্তা দূর হয় ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উৎসাহী দৃষ্টি
ভিয়েতনামের ক্যাফে নেকোতে কফি পান করার পাশাপশি নরম তুলতুলে বিড়ালের সঙ্গে আপনি কিছুটা সময় সুন্দর সময় কাটাতে পারবেন। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও নানা কারণে নিজ বাড়িতে বিড়াল পুষতে পারেন না। তাদের জন্য এ ধরনের ক্যাফে বেশ আদর্শ একটি জায়গা।
জার্মানিতে ব্রিটিশ শর্টহেয়ার বিড়ালের ক্যাফে
জার্মানির কেম্নিটস শহরেও এমন ক্যাফে চালু করেছেন ফ্রান্সিসকা ম্যুলার। যেখানে ক্যাফের স্বাভাবিক মেন্যু ছাড়াও ৬টি ব্রিটিশ শর্টহেয়ার বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন ক্রেতারা। ক্যাফেতে আগত ক্রেতারা বিড়ালের সঙ্গও বেশ উপভোগ করছেন। ছবিতে থাকা বিড়াল শুরিও তাদের সঙ্গ বেশ উপভোগ করছে বলে মনে হচ্ছে।
চীনে ৩৭ বিড়ালের ক্যাফে
চীনের বেইজিংয়ে গুডাওমানে ক্যাফে অন্তত ৩৭টি বিড়ালের আবাসস্থল। এমনকি তাদের বানানো কফি ও পেস্ট্রিতেও বিড়ালের নকশার ছাপ নজরে পড়বে। ক্যাফেটির মালিককে রীতিমতো পাহাড়া দিয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের।