1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সাকিবের ক্ষোভ কিংবা আক্রোশ থাকতে পারে'

নোমান মোহাম্মদ
১৮ জুন ২০২১

সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি মারার দিনে স্টেডিয়ামে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক ম্যানেজার, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু৷

https://p.dw.com/p/3vBoS
ছবি: Reuters/J. Sibley

ডয়চে ভেলে : বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিং নিয়ে পুরনো আলোচনা আবার সামনে এসেছে সাকিব আল হাসান ইস্যুতে৷ তার ওই স্টাম্পে লাথি মারা, স্টাম্প উপড়ে ফেলার ঘটনাটি কিভাবে জেনেছেন এবং তাতে আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু : গত চার-পাঁচ বছরে মাঠে গিয়ে লিগের খেলা খুব একটা দেখি না৷ সেদিন গিয়েছিলাম, প্রেসিডেন্ট বক্সেই ছিলাম৷ সাকিবের আপিলটা আমি দেখেছি, কিন্তু স্টাম্পে লাথি মারাটা সরাসরি দেখিনি৷ ফোন নিয়ে বা পাশে অন্য কিছুতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু পর মুহূর্তেই বুঝি, একটা ঘটনা ঘটে গেছে৷ এরপর টেলিভিশনে পরিষ্কার দেখেছি৷ তখন আমার যে উপলব্ধি সেটি বলতে পারি৷ আমি খুবই অবাক হয়েছি, বিস্মিত হয়েছি, লজ্জিতও হয়েছি৷ আপিলের বাড়াবাড়ি হয়, সে কারণে বোলাররা অনেক সময় শাস্তিও পান৷ যেটা তারা মনে করেন আউট, সেখানে একাধিকবার আপিল করার একটা সংস্কৃতি আছে৷ সেখানে সাকিবের এত দ্রুত প্রতিক্রিয়া, এতে আমি সত্যি অবাক হয়েছি৷ সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এ রকম আচরণ আশা করিনি৷

মুহূর্তের উত্তেজনায় খেলার মাঠে অনেক সময় অনেক কিছু হয়ে যায়৷ কিন্তু সাকিব স্ট্যাম্পে লাথি মারার পরের ওভারেই স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন আবার৷ এটি কি আপনি সরাসরি দেখেছেন? এবং তা কি আপনার কাছে আরো বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে?

হ্যাঁ, দেখেছি৷ ওটা কী বলবো, ডাবল বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিল৷ সাকিব এত বড় মাপের একজন খেলোয়াড়; ক্রিকেটের আইন-কানুন সম্পর্কে ভালোই জানেন৷ প্রথমবার স্টাম্পে লাথি মারার পরই বুঝতে পারার কথা, কত বড় অপরাধ করেছেন৷ ওই সময় তাই তার মাথা ঠান্ডা করা উচিত ছিল৷ বৃষ্টি আইনেও মোহামেডান এগিয়ে৷ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দলের কাছে৷ তারপরও সাকিবের এত আক্রমণাত্মক হওয়াটা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে৷ যারা আট-দশ বছর এক ক্লাবের হয়ে খেলতেন তাদের অনেক সময় এমন পাগলামি করতে দেখতাম৷ আমি '৮০, '৯০ দশকের কথা বলছি৷ কিংবা কোনো সমর্থক মাঠের বাইরে থেকে দৌড়ে ঢুকে এমন পাগলামি করতেন৷ কিন্তু এবার যেমন হয়েছে, তেমনটা কখনো হয়নি৷ আমি জীবনেও দেখিনি৷ 

তাহলে সাকিব কেন এমনটা করেছেন বলে আপনার মনে হয়? সাধারণ মানুষ অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট সিস্টেমের বিপক্ষে এটি সাকিবের প্রতিবাদ৷ আপনারও কি তাই মনে হয়?

 আমি গোয়েন্দা সংস্থার লোক না৷ তবে সরল মনে আমি নিজেই এর ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছি৷ এক. আমার কাছে মনে হয়েছে, সাকিব কোনো ক্লাবের প্রতি কমিটেড না৷ মোহামেডান কিংবা আবাহনী কিংবা অন্য যে কোনো ক্লাব তাকে ভালো প্রস্তাব দেবে, সে ক্লাবের হয়েই খেলবেন৷ এমনই পেশাদারী মনোভাব তার৷ তো মোহামেডান সুপার লিগে খেলবে কিনা, অমন চাপে তিনি আছেন এবং সে চাপেই এ আচরণ করেছেন আমার কাছে তা মনে হয়নি৷

দুই. দেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও সাকিব বেশি পেশাদার৷ কারণ, দেশের খেলা বাদ দিয়ে তিনি আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তার কমিটমেন্টের আরেকটা জায়গা যদি আমরা ধরি, তাহলে তার পেশাদারিত্ব ওখানে৷ এমন না যে, দেশের ক্রিকেট নিয়ে উনি অনেক অনেক বেশি ভাবেন৷ আমার কাছে সেটি মনে হয়নি৷

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু

তৃতীয়ত, দেশের ক্রিকেটের আম্পয়ারিং নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক লেখালেখি দেখেছি৷ সংগঠকদের কাছ থেকে শুনেছি৷ এগুলোর কিছু কিছুর সত্যতাও পেয়েছি আমি৷ প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগে খুব বাজে মানের আম্পয়ারিং হয়েছে৷ প্রিমিয়ার লিগেও আবাহনীর পক্ষে আম্পয়ারিংয়ে অভিযোগ এসেছে৷ এবার করোনার কারণে যেহেতু বাসাতেই ছিলাম, আমি টেলিভিশনে খেলা দেখেছি৷ তুলনামূলকভাবে আম্পায়ারিং ভালো হয়েছে৷ বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথাও শুনলাম যে, কোনো খেলোয়াড় কিংবা কর্মকর্তা নাকি আম্পয়ারিং নিয়ে অভিযোগ করেননি৷ হ্যাঁ, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে সাকিবের ওই লাথি মারাটা একটা অভিযোগ৷ আমার কাছে খুব অবাক লেগেছে মোহামেডানের ভূমিকা নিয়ে৷ সাহস করে তাদেরই বলা উচিত ছিল, এ খেলা নিয়ে আমাদের অভিযোগ আছে, যে কারণে সাকিব স্টাম্পে লাথি মেরেছে৷ মোহামেডানের মতো এত বড় ক্লাব তা করেনি দেখে আমি সত্যি খুব অবাক হয়েছি৷ আম্পায়ারিংয়ের যে অবনমন হয়েছিল, যাচ্ছেতাই আম্পয়ারিং নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল, কিংবা বিসিবির কোনো কোনো কর্মকর্তার নির্দেশে ওই ক্লাবকে জেতানো হয়েছে, ওই ক্লাবকে হারানো হচ্ছে দ্বিতীয়-তৃতীয় বিভাগে, সে সব ব্যাপারে আমার কখনোই মনে হয়নি যে, সাকিব খুব বেশি উদ্বিগ্ন৷ শুধু খেলোয়াড়দের আন্দোলনের সময় বিবৃতিতে তিনি সেটা বলেছেন৷ এই একটা জায়গাতেই তাকে অমন দেখেছি৷ প্রতিবাদ অনেকভাবে করা যায়৷ সাকিবের এটি যদি প্রতিবাদও হয়, তিনি যেভাবে তা করলেন, সেটা সঠিক না৷ আমার কাছে মনে হয়েছে, বিসিবির কোনো কর্মকর্তার উপর সাকিবের ব্যক্তিগত ক্ষোভ কিংবা আক্রোশ থাকতে পারে৷ সেটি বহিঃপ্রকাশে কোনো জায়গা তিনি পাচ্ছিলেন না৷ সেটি ভেবেও যদি সাকিব এমনটা করে থাকেন, তা-ও ঠিক হয়নি৷ হয়ত বড়সড় ধাক্কা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে৷ কিন্তু এটি প্রতিবাদের উপায় না৷ ক্রিকেটাররা অনেক শক্তিশালী৷ বিসিবিকে তারা কাঁপিয়ে দিয়েছিল৷ আম্পায়ারিং নিয়ে যদি তারা দাঁড়াতে চাইতেন, তাহলে আরো আগে সেটি করা উচিত ছিল, যখন নোংরামি ছিল চরম সীমায়৷ এখন কেন?

আপনার কথা বুঝতে পেরেছি৷ আমার প্রশ্ন, এবার সাকিব স্টাম্পে লাথি মারায় জনসাধারণের মধ্যে ধারণা তৈরি হলো তিনি প্রতিবাদ করেছেন, সেটি কি কারণে যে ঘরোয়া ক্রিকেটের পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারটা বিসিবি সবসময় উপেক্ষা করেছে? সে উপেক্ষা থেকেই কি এমন ধারণা?

ক্রিকেট যদি ভালোভাবে চালাতে হয়, তাহলে ভালো কিছু লোকও তো লাগবে৷ যেমন মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হলে ভালো দল দরকার৷ বোর্ডে ১৮-১৯টা স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে৷ তার মধ্যে ৮-১০টা কমিটি তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এর মধ্যে একটি আম্পয়ারিং কমিটি৷ সে কমিটির চেয়ারম্যান যাকে করা হয়েছে, তিনি ঢাকাতেই থাকেন না৷ কোনো খোঁজখবর রাখেন না৷ তাহলে এটি চালাচ্ছে কে? এ প্রশ্নটি কোনো সাংবাদিককেও দেখলাম না সামনে নিয়ে আসতে৷ বিসিবিকে কোনো চালেঞ্জের মুখে পড়তে দেখলাম না যে, কে কোন ম্যাচে আম্পয়ারিং করবে, সেটি কে ঠিক করেন৷ আবাহনীর বিপক্ষে একটা অপবাদ দেয়া হলো, তাদের প্রথম সাত ম্যাচে মুকুল, সৈকত, গাজী সোহেল এই তিন ভালো আম্পায়ারদের কেউ ছিলেন না৷ আম্পয়ারদের অ্যালটমেন্ট কে করেছেন? তাদের সামনে নিয়ে আসা হোক৷ খেলোয়াড়রা ভালো করলে বাহবা দেয়া হয়, খারাপ করলে চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়৷ তাহলে আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ম্যাচের আম্পায়ার দেয়ার দায়িত্ব কে পালন করছেন? সেই লোকটি কে? ওই কালপ্রিটকে সামনে আনা হোক৷ আমি এখানে সাহসী সাংবাদিকতাও দেখি না৷ এই সহজ জিনিসটা কেন আপনারা প্রশ্ন করছেন না; কেন তাকে সামনে আনছেন না? ক্রিকেটের সঙ্গে কেউ গাদ্দারী করলে সেটি উন্মোচন করার কিছুটা দায়িত্ব তো সাংবাদিকদের উপরও পড়ে৷ এরপর যদি বোর্ড কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তখন বোর্ডকে আমরা দায়ী করতে পারি৷ যে কোনো কিছু হলে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে উত্তর দিতে হয়৷ মাঝেমাঝে তাকে খুব অসহায় লাগে যে আম্পয়ারিং নিয়েও তারই বসতে হচ্ছে৷ তাহলে স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো আছে কেন? আমাদের সবারই কমে-বেশি দোষ আছে৷ আমরা হয়ত কিছু কথা বলেছি৷ সাংবাদিকদের আরো ভোকাল হওয়া উচিত ছিল৷ আর খেলোয়াড়দের সংগঠনের অনেক শক্তিশালী হওয়া দরকার ছিল৷ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটারদের বলে দেয়া হচ্ছে, এই ম্যাচ হেরে যাও৷ আবার পরবর্তী পর্যায়ে ক্রিকেটে দুর্নীতির বিপক্ষে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হচ্ছে৷ এটা হাস্যকর৷

এই ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল ধারায় আসবেন৷ খেলবেন যুব দল, অ্যাকাডেমি, ‘' দল, জাতীয় দলে৷ এখন যে ধরনের ক্রিকেটে তারা অভ্যস্ত, তাতে পাঁচ-সাত বছর পর বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রিকেটটাই কি আরো ভয়ংকর অবস্থায় চলে যাবার আশঙ্কা আপনি করেন না?

ভালো-মন্দ ব্যাপারটা খুব পরিষ্কার৷ তবে টিকে থাকার জন্য, বছর শেষে পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য অনেক খেলোয়াড় অনেক কিছু মুখ বুঁজে সহ্য করছেন৷ আমি তাই বলবো, ক্রিকেটারদের ঠিক করার আগে যে অফিসিয়ালরা এসব কাজ করছেন, আগে তাদের চিহ্নিত করতে হবে৷ বিতাড়িত করতে হবে৷ কারণ, ওরাই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় কালপ্রিট৷ আম্পায়াররাও একটা বড় জায়গা৷ আম্পায়ারদের বিপক্ষে অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদেরও সরিয়ে দিতে হবে৷ ক্রিকেটারদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করলে তাদের ভালো পথে ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন হবে না৷ যাদের মজ্জার মধ্যে এসব ঢুকে গেছে, অমন দু-একজন হয়ত ব্যতিক্রম থাকবেন৷ আরেকটা ব্যাপার৷ গত কয়েক বছরে ক্লাব ও এর কর্মকর্তাদের মাইগ্রেশনটা গবেষণা করা দরকার৷ কতজন ক্লাব বিক্রি করেছেন, কতজন বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন - এগুলো জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ আর যথাযথ নির্বাচনের একটা অবস্থা থাকা উচিত, যাতে অফিসিয়ালদের মধ্যেও ভালো করার প্রেরণা থাকে৷ এখন তো এমন অনেককে বোর্ডে দেখি, যারা ক্রীড়াঙ্গনেরই মানুষ না৷ তারা কি আসলে সংগঠক হিসেবে প্রথম ২৪ জনে আসার মতো? যদি তা না হয়, তাহলে কী ফল পাবেন? যে চার-পাঁচজন ভালো সংগঠক থাকবেন, তারা কাকে নিয়ে ‘ব্যাটিং' করবেন? পার্টনারের অভাব পড়ে যাবে তো৷

প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনীর পক্ষে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ অনেকদিনের৷আবাহনীর লিপু' হিসেবে তা আপনার কাছে কতটা খারাপ লাগে?

দেখুন, আগেও খেলা নিয়ে বিতর্ক ছিল৷ তবে তখন চক্ষুলজ্জা ছিল৷ আমি চার-পাঁচ বছর আগে যখন বিভিন্ন টেলিভিশনের প্রোগ্রামে যেতাম, তখন বলা হতো, আবাহনী কতগুলো খেলা বিকেএসপিতে খেলেছে, আম্পায়ারিংয়ের সুবিধা নিয়েছে - এসব৷ আমি শো করা কমিয়ে দিলাম৷ আমার ক্ষোভটা সে জায়গাতেই৷ আপনারা বের করেন না, বিভিন্ন খেলার আম্পায়ার নির্বাচন কারা করছে৷ আরেকটি ব্যাপার৷ গত ১০ বছরে কতজন খেলোয়াড় এলেন-গেলেন! কিন্তু আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সয়লাব হোসেন টুটুল কত ভালো যে তাকে কেউ সরাতে পারেন না? এ জায়গায় ওই অ্যাসোসিয়েশকেও দায়িত্ব নিতে হবে৷ আবাহনীকে নিয়ে যে প্রশ্নটি করেছেন, আমি আসলে খুব ব্রিবতবোধ করতাম৷ আমরা হয়ত চ্যাম্পিয়ন হতাম৷ কিন্তু সঙ্গে একটা তকমা লাগিয়ে দেয়া হতো, ‘আপনারা তো এভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন', সেটি হজম করতে আমার কষ্ট হতো৷

শেষ প্রশ্ন৷ সাকিব-কাণ্ডে আম্পায়ারিংয়ের ইস্যুটা যে সামনে এসেছে, তাতে একটু হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আপনি কি আশা করছেন?

এমন একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিবর্তন আসবে, সেটি আমি সমর্থন করি না৷ অবশ্যই পরিবর্তন আসা উচিত৷ বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আছে৷ খেলোয়াড় অ্যাসোসিয়েশন, ক্লাব, সংগঠক এসব জায়গা থেকে প্রতিবাদ আসতে পারে৷ আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো আম্পায়ারিং হবে৷ এবং ক্রিকেট আবার সুন্দর জায়গায় ফেরত আসবে৷