গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকার রামপুরা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পশুর প্রতি নির্দয় আচরণের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়৷ এটা ছিল বাংলাদেশে পশুর প্রতি নির্মম আচরণের অভিযোগে প্রথম আইনগত ব্যবস্থা৷
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তারা হলেন জনি, শুভ এবং ইমরান৷ ‘অভয়ারণ্য' - বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বা বাংলাদেশ প্রাণী কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠনের মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের তখন গ্রেপ্তার করা হয়৷ মামলাটি হয়েছিল রামপুরা থানায়, গত বছরের ১৮ই জুন৷ সেই মামলায় একটি কুকুরকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়৷ ফেসবুক-এর একটি ‘পোস্ট' থেকে ঘটনাটি জানতে পেরেছিল সংগঠনটি৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
আগের তথ্য সত্যি নয়!
মেরু অঞ্চলের বাসিন্দা সাদা ভল্লুকরা খাবারের অভাব পড়লে শক্তিসঞ্চয় করতে কিছুদিন হাইবারনেশনে কাটাতে পারতো বলে এতদিন জানা ছিল৷ কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে সেটা সত্যি নয়৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
জনপ্রিয় সিংহ ‘সেসিল’
জিম্বাবোয়ের প্রখ্যাত সিংহ সেসিলকে গত জুলাই মাসে হত্যা করেন এক মার্কিন শিকারি৷ বিষয়টির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ যুক্তরাষ্ট্রেরই অনেক নাগরিক এই ঘটনায় মার্কিন ঐ শিকারিকে বিচারের মুখোমুখি করতে জিম্বাবোয়েতে পাঠানোর পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
হাতির মৃত্যু
বিশ্ব যখন সেসিলের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত তখনই কেনিয়ায় পাঁচটি হাতিকে হত্যার খবর জানা যায়৷ সংরক্ষিত একটি পার্কে ঐ হাতিগুলোকে দাঁতহীন অবস্থায় মরে পড়তে দেখা যায়৷ অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে প্রতিবছর শত শত হাতির মৃত্যু হয়৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
রইলো বাকি চার
চেক প্রজাতন্ত্রের একটি চিড়িয়াখানায় গত মাসের শেষ সপ্তাহে নাবির নামের একটি উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডারের মৃত্যু হয়৷ ফলে বিশ্বে এখন এই প্রজাতির আর মাত্র চারটি গন্ডার থাকলো৷ বিজ্ঞানীরা ঐ গন্ডারগুলোর প্রজননের চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত সফলতার খবর আসেনি৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
কুমিরও নিরাপদ নয়
অস্ট্রেলিয়ার একটি শহরে পুরনো এক রেফ্রিজারেটরে একসঙ্গে ৫০টি লবণাক্ত পানির কুমিরের মাথা পাওয়া গেছে৷ কুমিরের চামড়া মূল্যবান হওয়ায় অসাধু শিকারিদের জীবন আজ হুমকির মুখে৷
-
প্রাণিকুলের কয়েকটি খারাপ খবর
লাল স্যামন
জুন মাসে প্রচণ্ড গরমের কারণে পানির উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় কলম্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আড়াই লক্ষ লাল স্যামন মাছের হয় মৃত্যু হয়েছে, না হয় মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে৷
লেখক: ক্লাউডিয়া গার্সিয়া/জেডএইচ
পুলিশ এই মামলাটি নিয়েছে ‘ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেল অ্যাক্ট-১৯২০' আইনের অধীনে৷ অভয়ারণ্য-এর প্রধান রুবাইয়া আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা ২০০৯ সাল থেকে ‘অ্যানিমেল রাইট' নিয়ে কাজ করছি৷ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটির বিচার আদালতে চলছে৷ তবে আমরা ঐ তিনজনের জেল জরিমানা চাই না৷ আমরা চাই, আদালত যেন তাদের ‘অ্যানিমেল রাইট' বা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করার আদেশ দেয়৷''
রাজধানী ঢাকায় কুকুরের উপদ্রপ বেড়ে গেলেই আগে নিষ্ঠুর উপায়ে কুকুর নিধন করা হতো৷ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর নিধন দল গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কুকুর ধরে তাদের ট্রাকে তুলে হত্যা করত৷ কিন্তু অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন আইনি উপায়ে তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তাই গত চারবছর ধরে কুকুর নিধন বন্ধ বাংলাদেশে৷ এছাড়া উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণের৷ এই কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করছে ‘অভয়ারণ্য'৷ এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে৷
রুবাইয়া আহমেদ জানান, ‘‘২০১২ সাল থেকে আমরা ঢাকায় ১০ হাজারের মতো কুকুরকে জন্মনিয়ন্ত্রণের আওয়তায় এনেছি৷''
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চিফ ভেটেনারি সার্জন ডা. আজমত উল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের হিসেবে রাজধানীতে ২০ হাজার কুকুর আছে৷ আমরা কুকুর নিধন বন্ধ রেখেছি৷ আমারাও চাই নিষ্ঠুর উপায়ে কুকুর নিধন না করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে৷''
-
কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
বিলুপ্তির মাত্রা ১০০ গুণ বেশি
যুক্তরাষ্ট্রের এই কালো ভালুক আর কতদিন দেখা যাবে কে জানে? এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত শতকে জীববৈচিত্র কমেছে আগের চেয়ে প্রায় একশ’ গুণ বেশি হারে৷ বৃদ্ধির কারণ মানুষ৷ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, বণাঞ্চলে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ার কারণেই উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিলুপ্তি দ্রুততর হচ্ছে৷
-
কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে
সম্প্রতি দ্য ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) বিশ্বের ৪১ ভাগ উভচর এবং ২৬ ভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীই এখন চিরবিলুপ্তির ঝুঁকির সামনে৷ ছবির এই টিটিকাকা নামের বিশাল ব্যাঙগুলো এক সময় পেরু এবং বলিভিয়ার হৃদগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা যেত৷ এখন খুব কম দেখা যায় এদের৷ কয়েক বছর পর হয়ত এই ধরণের ব্যাঙ শুধু ছবিতেই থাকবে৷
-
কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
মানুষই দায়ী
গত ৪০ বছর ধরে মানুষ প্রতি মিনিটে গড়ে অন্তত ২ হাজার করে গাছ কাটছে৷ তাহলে প্রতিদিন বিশ্বের বনাঞ্চল থেকে কী হারে গাছ কমছে ভেবে দেখুন! এর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ এবং উষ্ণায়নও নানাভাবে বাড়াচ্ছে মানুষ৷ এ সব বিষয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিলুপ্তিতে বড় ভূমিকা রাখছে৷
-
কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
বিপন্ন মানবজাতি
মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জেরার্ডো সেবালোস মনে করেন, সতর্ক না হলে অনুমানের চেয়ে বেশ আগে মানুষও বিলুপ্ত হতে পারে৷ কিছু প্রাণীর সঙ্গে মানুষের অস্তিত্ব নির্ভরশীল – এ কথা বলে মৌমাছির উদাহরণ দিয়েছেন তিনি৷ মৌমাছি হারিয়ে গেলে অনেক রকমের খাবা তৈরি করা সম্ভব হবে না৷ ফলে একসময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে৷ দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ মারা গিয়ে মানবজাতির বিলুপ্তিকে ত্বরান্বিত করতে পারে৷
-
কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং মানুষেরও বিলুপ্তির আশঙ্কা!
‘দ্বিগুণ চেষ্টা করুন’
যৌথভাবে রচিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বিলুপ্তির হাত থেকে কিছু গাছপালা, প্রাণী এবং সর্বোপরি মানুষকেও বাঁচাতে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁরা মনে করেন, এখন থেকে সতর্ক এবং সজাগ হলে বিলুপ্তি অনেকটাই বিলম্বিত করা সম্ভব৷
লেখক: হিলকে ফিশার/এসিবি
বাংলাদেশে প্রচলিত ‘ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেল অ্যাক্ট-১৯২০'-তে বলা হয়েছে, ‘যদি কেউ পশুকে দিয়ে ক্ষমতার চেয়ে বেশি ভার বহন করায়, বিনা কারণে কোনো পশুর প্রতি নির্দয় আচরণ করে, প্রহার করে অথবা এমনভাবে বেধে রাখে বা বহন করে, যাতে নির্দয় আচরণ স্পষ্ট হয় অথবা নির্দয় আচরণের কারণে কোনো পশুর মৃত্যু হয়, তাহলে এর জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ তিনমাসের জেল এবং ১০০ টাকা জরিমানা হতে পারে৷'
বাংলাদেশে বন্য প্রাণী আইনও কার্যকর আছে৷ ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, বাঘ ও হাতি হত্যা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা ১০ লাখ টাকা৷ আরো ১২ ধরণের প্রাণী হত্যার জন্য তিন বছরের জেল এবং তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে৷ এই আইনে ১,০৩৭টি প্রাণী এবং উদ্ভিদকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷
বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে কাজ করে ‘ওয়াইল্ড লাইফ টিম' নামে একটি সংগঠন৷ এই সংগঠনের সদস্য ইকবাল হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বাঘ পিটিয়ে হত্যার ঘটনা অতীত থেকেই চলে আসছে৷ বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসলেই তাদের ওপর আক্রমণ হয়৷ গড়ে প্রতিবছর ২-৩টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার মানুষের হাতে প্রাণ দেয়৷ এছাড়া হরিণ, বনবিড়াল, ভোঁদর, শিয়াল, মেছোবাঘসহ আরো অনেক বন্যপ্রাণী মানুষের হাতে পড়ে প্রাণ দেয়৷''
তবে তিনি জানান, ‘‘মানুষের মধ্যে সচেতনতাও গড়ে উঠছে৷ ২০১২ সালে সাতক্ষীরার কদমতলীর লোকালয়ে সুন্দরবনের একটি বাঘ চলে আসলে সাধারণ মানুষ বনবিভাগের সহায়তায় তাকে আবার বনে পাঠায়, আক্রমণ করেনি৷ এরপর প্রতিবছরই এরকম ঘটনা ঘটেছে৷ গঠন করা হয়েছে ‘টাইগার রেসপন্স টিম'৷''
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
রায়ান গোসলিং
ক্যানাডীয় অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী গোসলিং ২০০৩ সালে কেএফসির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন৷ মুরগি পালন ও জবাইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু মানবিক হতে কেএফসিকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে ম্যাকডোনাল্ডসকেও একইরকম বার্তা পাঠান গোসলিং৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
এলেন ডিজেনেরাস
মার্কিন এই কমেডিয়ান টেলিভিশনে প্রচারিত তাঁর জনপ্রিয় শো-তে নিয়মিতভাবে প্রাণী অধিকারের বিষয়টি তুলে আনেন৷ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে তাঁকে ‘ওমেন অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব দেয় প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের অন্যতম বড় সংগঠন ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমেল’ (পেটা)৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
ক্রিস্টেন বেল
মার্কিন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী বেল ১১ বছর বয়স থেকেই ভেজিটেরিয়ান৷ পেটা ২০০৬ সালে তাঁকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী ভেজিটেরিয়ান’-এর খেতাব দেয়৷ প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন৷ মাঝেমধ্যে তাঁদের কার্যক্রমেও অংশ নেন বেল৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
কেশা
২৮ বছর বয়সি মার্কিন এই সংগীত শিল্পী সীল, সিংহ ও হাঙরের মতো প্রাণীর অধিকারের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছেন৷ কসমেটিকস তৈরিতে বিভিন্ন প্রাণী নিধনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার৷ এ ধরনের কাজের জন্য তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
ভিওলা ডেভিস
সার্কাসের হাতিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা বাধ্য করে আইন করতে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড স্টেটের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী ভিওলা ডেভিস৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
ডেমি মুর
সার্কাসের হাতিদের প্রশিক্ষণে অঙ্কুশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রাণীদের প্রতি তাঁর অনুভূতির জানান দেন ডেমি মুর৷
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
পল ম্যাকার্টনি
নিজেদের পালিত একটি ভেড়াকে জবাইয়ের পর নিজেদের প্লেটে মাংস হিসাবে রূপান্তরিত হতে দেখে ভেজিটেরিয়ান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিটলসখ্যাত পল ও তাঁর স্ত্রী লিন্ডা ম্যাকার্টনি৷ সেই থেকে এই দম্পতি পেটা সহ অন্য আরেকটি প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠনকে সহায়তা করে থাকে৷ তাঁরা বলেন, ‘‘যদি কসাইখানাগুলোর দেয়াল কাচের হতো তাহলে সবাই ভেজিটেরিয়ান হয়ে যেত৷’’
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
প্যামেলা অ্যান্ডারসন
বেওয়াচখ্যাত অভিনেত্রী প্যামেলা অ্যান্ডারসন পেটা-র হয়ে অনেকগুলো কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন৷ যেমন ২০০৩ সালে তিনি পেটা-র ‘পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক পরার পরিবর্তে আমি নগ্ন হয়ে থাকব’ কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ ২০০১ সালে তিনি কেএফসি-র বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘প্রতিবছর কেএফসি সাড়ে সাতশ মিলিয়ন মুরগির সঙ্গে যা করে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷’’
-
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
বলিউড তারকারাও সোচ্চার
বেশ কয়েকজন বলিউড তারকাও প্রাণী অধিকারের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে আছেন হেমা মালিনি, মাধুরী দীক্ষিত, জন আব্রাহাম, সেলিনা জেটলি, শিল্পা শেঠী, অর্জুন রামপাল ও শাহেদ কাপুর৷
লেখক: জাহিদুল হক
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার বা আইইউসিএন-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গৃহপালিত এবং বন্য – দু'ধরনের প্রাণীই নির্দয় আচরণের শিকার হচ্ছে৷ এর একটি কারণ হলো, মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে হিংস্র প্রাণীকে আগেই আক্রমণ করে৷ তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো সচেতনতার অভাব৷ অনেকে না জেনেই পশুর প্রতি নির্দয় আচরণ করে৷ প্রাণীরা যে এই পৃথিবীরই সদস্য এবং পৃথিবীর জন্য পরিবেশের জন্য, মানুষের জন্য তাদেরও বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন, তা অনেকেই জানেন না৷''
এরপরও অবশ্য তিনি মনে করেন, ‘‘এখন বাংলাদেশের মানুষ আগের তুলনায় অনেক সচেতন৷ আর সে কারণেই কোথাও একটা সাপ লোকালয়ে এসে ধরা পড়লে, তা সংবাদমাধ্যমে খবর হয়৷ সাপটাকে কীভাবে বনে ফেরত পাঠানো যায়, তা নিয়ে কথা হয়৷ আমরা আহত বা নানা দুর্ঘটনার শিকার প্রাণীকে চিকিৎসা দেয়া, উদ্ধার করার খবরও পাই৷''
বাংলাদেশে পশুর প্রতি নির্মম আচরণ কি আপনারও চোখে পড়েছে? জানিয়ে দিন মন্তব্যের ঘরে৷