বিশ্বের ৮টি অদ্ভুত ও সুন্দর যত চিঠির বাক্স
জার্মানির হামবুর্গ থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের ডোডাওয়ার বনে বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক চিঠির বাক্সটি আছে৷ এমন আরও বাক্সের কথা থাকছে ছবিঘরে৷
গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে কাঠের ব্যারেলের মেলবক্স
১৮ শতকে ইকুয়েডরের গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত ফ্লোরেয়ানা দ্বীপে কাঠের ব্যারেল দিয়ে অস্থায়ী এই চিঠির বাক্সটি স্থাপন করেছিলেন তিমি শিকারীরা৷ নাবিকদের মধ্যে যারা চিঠির গন্তব্যের দিকে যেতেন তারা চিঠি নিয়ে যেতেন৷ এখনও দ্বীপটিতে যাওয়ার পর্যটকেরা চিঠির বাক্সটি ব্যবহার করেন৷
ঔপনিবেশিক আমলের চিহ্ন
জার্মান ইস্ট আফ্রিকা, বর্তমানে তাঞ্জানিয়ার উসামবারা রেলস্টেশনে এটি স্থাপন করা হয়েছিল৷ ১৯১৬ সালে ব্রিটেন এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বাক্সটি পাকিস্তানের লাহোরের ডাকঘরকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল৷ এটি এখন পাকিস্তানের গোলরা শরীফ রেল জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে৷
বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক চিঠির বাক্স
জার্মানির হামবুর্গ থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের ডোডাওয়ার বনে ৫০০ বছরের পুরনো একটি ওক গাছে একটি চিঠির বাক্স রয়েছে৷ গাছটি ‘বরের ওক’ নামে পরিচিত৷ প্রায় ১০০ বছর ধরে এই গাছের ছিদ্রতে ভালোবাসার চিঠি ফেলা হচ্ছে৷ যে কেউ এসব চিঠি পড়তে পারেন৷ এভাবে এখন পর্যন্ত ১০০টির মতো বিয়ে হয়েছে বলে জানা যায়৷
কাশ্মীরের ডাল লেকের ভাসমান চিঠির বাক্স
১৯৫৩ সালে ২০০ বছরের পুরনো একটি হাউসবোটে একটি ডাকঘর স্থাপন করা হয়েছিল৷ এটি বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পোস্ট অফিস বলে দাবি করা হয়৷ এখন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা এই ডাকঘর ও তার চিঠির বাক্স ব্যবহার করেন৷
পানির নিচে চিঠির বাক্স
১৯৯৯ সালে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে জাপানের উপকূলীয় শহর সুসামিতে পানির নিচে এই চিঠির বাক্সটি স্থাপন করেন একজন স্থানীয় পোস্টমাস্টার৷ ডাইভাররা পানির ১০ মিটার নিচে অবস্থিত এই মেলবক্সে ওয়াটারপ্রুফ পোস্টকার্ড ফেলেন৷ স্থানীয় ডাইভ শপের মালিক সেগুলো সংগ্রহ করে ডাকঘরে পাঠিয়ে দেন৷ এটি অপ্রয়োজনীয় কাজ মনে হলেও এই চিঠির বাক্সের কারণে সুসামি এখন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে৷
আর্ট যখন পোস্টবক্স
স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্লাতিস্লাভায় স্থাপিত এক শিল্পকর্ম দুই তরুণীকে স্কেটবোর্ডিংয়ের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়৷ তবে এর মধ্যে এক তরুণীকে যে কাঠামোর উপর বসে থাকতে দেখা যায় সেটি আসলে একটি চিঠির বাক্স৷ সেখানে ফেলা চিঠি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয় স্লোভাকিয়ার পোস্ট অফিস৷
ভাইরাল মেলবক্স
২০১৫ সালে তাইওয়ানে টাইফুনের সময় একটি সাইনবোর্ড এই দুই চিঠির বাক্সের উপর এসে পড়েছিল৷ তখন এগুলো এভাবে বেঁকে যায়৷ দেখতে অনেকটা মানুষের মুখের মতো লাগায় এগুলোর ছবি সেই সময় ভাইরাল হয়েছিল৷ সেই থেকে মানুষ এখন এগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে৷
ই.টি.কে চিঠি পাঠানোর মেলবক্স
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা হাইওয়ে ৩৭৫ সড়কের (এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল হাইওয়ে নামেও পরিচিত) পাশে এই ‘ব্ল্যাক মেলবক্স’ অবস্থিত৷ ঐ এলাকায় সাধারণত ইউএফও শিকারীরা এলিয়েনের খোঁজ করেন৷ চিঠির বাক্সটি একসময় একজন ব্যক্তি ব্যবহার করতেন৷ কিন্তু পরবর্তীতে এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাওয়া ব্যক্তিরা এটি ব্যবহার করা শুরু করেন৷ পরে ঐ ব্যক্তি এটি পরিত্যাগ করেন৷ এখন সেখানে এলিয়েনদের কাছে পাঠানো চিঠি জমা করা হয়৷