1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল শিল্পকর্ম

২২ জানুয়ারি ২০২১

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রচারের অংশ হিসেবে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল শিল্পকর্ম’ গড়ে তোলা হয়েছে৷ নাম ‘গ্লোবাল গেট’৷

https://p.dw.com/p/3oHZT
গ্লোবাল গেট
ছবি: Adrian Bedoy/courtesy of the artist Leon Löwentraut

ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে এর দেখা পাওয়া যাচ্ছে৷ জার্মানির অন্যতম প্রখ্যাত শিল্পী লেওন ল্যোভেনট্রাউট এটি বানিয়েছেন৷ ২২ বছর বয়সি এই শিল্পী জাতিসংঘের ‘আর্ট ফর গ্লোবাল গোলস' প্রকল্পের অংশ হিসেবে এটি তৈরি করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মূল বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন৷ আগের চেয়ে এই আলোচনা এখন আরও বেশি জরুরি, কারণ, ভবিষ্যতে আমরা কেমন আচরণ করবো, আমাদের জীবনযাপন কেমন হবে, তা এখনই নিশ্চিত করতে হবে৷ জাতিসংঘের প্রকল্পটা অনেক বড়, তাই শিল্পকর্মটাও এত বড় করে করা হয়েছে, যেন মানুষের তা চোখে পড়ে এবং তাহলেই মানুষ গুরুত্বটা বুঝতে পারবে৷’’

মাত্র কয়েকদিন কাজ করে ৩৭টি কনটেনার দিয়ে ‘গ্লোবাল গেট’ তৈরি করা হয়েছে৷ শিল্পকর্মের কাভারে লেওনের রঙিন সব কাজ শোভা পাচ্ছে৷ বার্লিনের বিখ্যাত ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের আদলে তৈরি হয়েছে এটি৷

এক শিশুর মাথা থেকে এমন শিল্পকর্মের আইডিয়া এসেছে৷ আর্ট প্রজেক্ট ডেভেলপার মার্কুস শ্যাফার বলেন, ‘‘আমার ছেলে মাক্সিমিলিয়ানের বয়স ৯৷ তার খেলনা কনটেনার আছে৷ সেগুলো দিয়ে সে একদিন ব্রান্ডেনবুর্গ গেট বানিয়েছিল৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঐ গেটের একেকটি পিলারের উচ্চতা ১৩ মিটার৷ শিপিং কনটেনারেরও তাই৷ ফলে বার্তাটা পরিষ্কার৷’’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সবাইকে জানানোর অংশ হিসেবে জাতিসংঘ বছর তিনেক আগে লেওনকে এই শিল্পকর্ম বানানোর কাজ দেয়৷ পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার প্রতিটি তুলে ধরেছেন লেওন৷

জাহাজের কনটেনার দিয়ে মোবাইল শিল্পকর্ম

পেইন্টিংগুলো ইতিমধ্যে প্যারিস ও নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হয়েছে৷ পেইন্টিং বিক্রির অর্থ দিয়ে সেনেগালে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে৷

গ্লোবাল গেটে লেওনের পেইন্টিংগুলো বড় করে প্রদর্শিত হচ্ছে৷ সঙ্গে ১২টি ভাষায় লক্ষ্যমাত্রাগুলো তুলে ধরা হয়েছে৷

কিন্তু বিমানবন্দরের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন বিষয়টি কীভাবে খাপ খায়? লেওন ল্যোভেনট্রাউট বলেন, ‘‘আর্টের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সবার নজর কাড়া যায়৷ আশা করছি ভবিষ্যতে আমরা আরো টেকসইভাবে বিমানযাত্রা করতে পারবো৷ আমি একজন আর্টিস্ট, আর্ট আমার আবেগ৷ আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আমি টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি৷ পুরো বিশ্বের জন্যই এমন উন্নয়ন দরকার৷ ফলে প্রতীকী অর্থে এখানে বিমানবন্দর এসেছে৷’’

লেওনের ফটো ক্যাম্পেন ‘মাই ফিউচার' এর ছবিও গ্লোবাল গেটে শোভা পাচ্ছে৷ দুশ'র বেশি শিশুকে ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের ধারণা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে বলেছিলেন তিনি৷

কিন্তু শিল্পী নিজে কীভাবে ভবিষ্যৎকে দেখেন? লেওন ল্যোভেনট্রাউট বলেন, ‘‘আমার মনে হয়ে ভবিষ্যতে ডিজিটালাইজেশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বড় একটা ভূমিকা রাখবে৷ এছাড়া বর্তমানে আমরা যে কঠিন সময় পার করছি তার ভিত্তিতে জীবন সম্পর্কে আমাদের মনে অন্যরকম এক ছবি ও বোধ জন্ম নেবে৷’’

গ্লোবাল গেট - নতুন এক পৃথিবীর গেটওয়ে? ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এটি ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে থাকবে৷ এরপর এটি বিশ্বভ্রমণে বের হবে৷

জোসেফিন গুন্টার/জেডএইচ