1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশেষ ড্রোন পরীক্ষা করছেন জার্মানির গবেষকেরা

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

জার্মানির ব্রাউনশোয়াইগ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটু অন্যরকম ড্রোন নিয়ে পরীক্ষা করছেন৷ এসব ড্রোন দিয়ে বাতাসে দূষণের মাত্রা ও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আরও বিশদভাবে জানা সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/46cKD
প্রতীকী ছবিছবি: Stefan Sauer/dpa/picture alliance

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াইয়ে এসব ড্রোন ভূমিকা রাখতে পারে৷

সম্প্রতি তিনটি ভিন্ন ধরনের ড্রোন আকাশে উড়িয়ে পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা৷ এর মধ্যে একটি স্থায়ী পাখার ড্রোন, বাকি দুটো মাল্টি-কপ্টার্স৷ প্রথমটার নাম ‘মেসবার’ - যা এটি একটি উড়ন্ত গবেষণাগার৷ এই ড্রোন সম্পর্কে গবেষক লুটৎস ব্রেটস্নাইডার বলেন, ‘‘এটা একটা দূষণমাপক ড্রোন৷ দূষণকারী বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে এখানে৷ অনেকটা রাস্তার পাশে থাকা পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মতো৷ এটা কালির ঝুল, বস্তুকণা, ওজোন ও অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ পর্যবেক্ষণ করে৷’’

মেসবারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলা যেতে পারে৷ এটি বিভিন্ন উচ্চতায় উড়ে সেখানকার বাতাসের গুন রেডিওর মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে পারে৷

গবেষকরা তাদের ড্রোন দিয়ে অন্যান্য গবেষণা প্রকল্পকেও সহায়তা করেছেন৷

ড্রোন দিয়ে দূষণ মাপতে চান বিজ্ঞানীরা

২০১৭ সালে তাদের দুটি ড্রোন আর্কটিকে পোলারস্টার্ন গবেষণা জাহাজে ব্যবহার করা হয়েছিল৷ একটির কাজ ছিল পোলার অঞ্চলে গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা৷ আর অন্যটি দিয়ে এক হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করা হয়েছিল৷

আরেকি ড্রোনের নাম আলাদিনা৷ এটি আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বাতাস এবং অ্যারোসলের মতো সূক্ষ্ম কণার তথ্য সংগ্রহ করে৷ গবেষক আস্ট্রিড লাম্পার্ট জানান, ‘‘এসব তথ্য শুধু এমন ড্রোনের মতো আকাশে উড়তে থাকা যন্ত্র দিয়েই পাওয়া সম্ভব৷ আপনি যখন ভূমিতে বাতাসের দূষণ পরিমাপ করেন তখন উঁচুতে আকাশে তার পরিমাণ কেমন, তা জানতে পারেন না৷ কিন্তু প্রতিটি স্থানের তথ্য জানা দরকার, কারণ তাহলে কোন পদ্ধতিটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷’’

আলাদিনার কাজ আবহাওয়া সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা৷ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এসব তথ্য দরকার৷ এছাড়া এর মাধ্যমে আরও নির্দিষ্টভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য জানা যেতে পারে৷

টেক-অফ আর ল্যান্ডিংটা রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ কিন্তু একবার উড়ে যাওয়ার পর আলাদিনা নিজেই চলাচল করে৷ শিগগিরই বার্লিনের আকাশে এটি চলাফেরা করবে৷

নতুন চালু হওয়া বার্লিন-ব্রান্ডেনবুর্গ বিমানবন্দর দূষণের মাত্রা কতটা বাড়িয়েছে তা জানাবে আলাদিনা৷

বিয়র্ন প্লাটৎস/জেডএইচ